অধিকারের দাবিতে ২৪ ঘন্টা ধরে ধর্নায় গৃহবধূ, দেখা করলেন নেতা ও
জনপ্রতিনিধিরা
মালদা;09ডিসেম্বর: বিয়ের পরেও স্ত্রীকে মর্যাদা দিচ্ছে না তার স্বামী এবং শ্বশুরবাড়ির লোকেরা।ন্যায্য অধিকারের দাবিতে ২৪ ঘন্টা ধরে ধর্নায় ওই গৃহবধূ।উত্তেজনা এলাকায়।দেখা করে এলেন নেতা ও জনপ্রতিনিধিরা।
ঘটনাটি ঘটেছে মালদার হরিশ্চন্দ্রপুরের পিপলা এলাকায়। প্রতিবেশী যুবক প্রশান্ত দাস তাকে গত ২৯ নভেম্বর বিয়ে করেন বলে তরুণীর দাবি। তারপর যুবক গত এক সপ্তাহ তরুণীর বাড়িতেই ছিলেন। শনিবার বাড়ি থেকে বেরিয়ে আর ফেরেননি। তারপরেই রবিবার সকাল থেকে শ্বশুরবাড়ির সামনে ধর্নায় বসেছেন।অভিযোগ ওই গৃহবধূকে স্বীকৃতি দিচ্ছে না স্বামী এবং শ্বশুর বাড়ির লোকেরা।এদিন পিপলায় গিয়ে তার সঙ্গে দেখা করেন জেলা পরিষদের শিশু, নারী, সমাজকল্যাণ ও ত্রান কর্মাধ্যক্ষ মার্জিনা খাতুন, হরিশ্চন্দ্রপুর-১ ব্লক যুব তৃণমূল সভাপতি জিয়াউর রহমান।
সব শুনে তারা তরুণীর পাশে থাকার বার্তা দেন। যদিও চেষ্টা করেও শ্বশুরবাড়ির লোকজনের সঙ্গে তারা কথা বলতে ব্যর্থ হন। এদিকে জনপ্রতিনিধিরা ফিরে যেতেই প্রতিবেশীদের একাংশ তরুণীকে তার শ্বশুরবাড়িতে ঢোকানোর চেষ্টা করেন। ভিতর থেকে বাধা দেন তরুণীর শ্বশুরবাড়ির লোকজনও। তা নিয়ে এলাকার পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।
হরিশ্চন্দ্রপুরের আইসি সঞ্জয় কুমার দাস বলেন, এখনও কোনও তরফেই লিখিত অভিযোগ জানানো হয়নি। তবে আমরা পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছি।
জিয়ায়ুর রহমান বলেন, ” এই ঘটনা অনভিপ্রেত, সুস্থ সমাজে এই ধরণের ঘটনা কাম্য নয়।আমরা চাইব ওই বধূ তার ন্যায্য অধিকার পাক ।ওর স্বামী এবং শ্বশুরবাড়ির লোকেদের সাথে কথা বলে সমাধান হলে তো খুব ভাল। ”
মার্জিনা খাতুন বলেন, ” ২৪ ঘন্টা ধরে ওই মহিলা নিজের ন্যায্য অধিকারের দাবিতে ধর্ণা দিচ্ছেন। শুনেই
আমি দেখা করতে এসেছি।এই ঘটনা অতন্ত্য দুর্ভাগ্যজনক। আর বর্তমান সমাজে পণপ্রথা তো বেআইনি। সে যাতে সুবিচার পাই তার জন্য পাশে আছি। ”
পণপ্রথা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। যদি পনের দাবিতে ওই গৃহবধূ তার ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হয় তা অনভিপ্রেত। প্রশাসনের উচিত এই বিষয়ে সঠিক হস্তক্ষেপ করা।যাতে ওই বধূ সুবিচার পাই।