বর্ধমান, ১৩ জুলাই : ১৭০২ সালে মহারাজা কীর্তিচাঁদ দ্বারা নির্মিত হয় বর্ধমানের সর্বমঙ্গলা মন্দির। এই মন্দিরে প্রতি বছরই পালিত হয় বিপত্তারিণী পূজা । এইদিনে মন্দির প্রাঙ্গণে প্রচুর মানুষের সমাগম ঘটে । শুধু বর্ধমান জেলাতেই না, পশ্চিমবঙ্গের নানা জায়গা থেকে মা সর্বমঙ্গলার পূজা দিতে আসেন ভক্তরা।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের কারণে দেশজুড়ে চলছে আংশিক লকডাউন। পশ্চিমবঙ্গের চিত্রটাও একই। সর্বমঙ্গলা মন্দির প্রাঙ্গণে প্রবেশে জারি হয়েছে নিষেধাজ্ঞা। মন্দিরের ভিতরে বিধিনিষেধ মেনেই চলছে দেবীর পূজা।
অনেকের মতে এই মন্দির ১০০০ বছরের পুরনো। তবে, সর্বমঙ্গলার মূর্তিটি মন্দিরের থেকেও বেশি প্রাচীন বলে মনে করেন অনেকে। স্থাপত্যের দিক থেকে এই মন্দির গুরুত্বপূর্ণ । এটি বাংলার প্রথম নবরত্ন ধাঁচে তৈরী মন্দির। মূল মন্দির তৈরী করার পর তার আশেপাশে গড়ে ওঠে নাট মন্দির, শ্বেত পাথরের তৈরি রামেশ্বর ও বাণেশ্বর নামে দুটি শিব মন্দির। কালো পাথরে তৈরি হয় মিত্রেশ্বর, চন্দ্রশ্বর ও ইন্দ্রেশ্বর নামে আরও তিনটি শিব মন্দির।
দুর্গাপূজায় নবমীর দিন কুমারী পূজা হয় এই মন্দিরে। দশমীতে অপরাজিতা পূজার মধ্যে দিয়ে উৎসব শেষ হয়। এছাড়াও পয়লা বৈশাখ, কালী পূজা ও শিবরাত্রি পূজাও হয়ে থাকে। এই দিনগুলোতে প্রচুর মানুষের সমাগম ঘটে। তাই এই মন্দির রাজ্যের একটি পর্যটন কেন্দ্র হিসাবেও পরিচিত।