আবার হাতির আক্রমণ। বাঁকুড়া সোনামুখীর জঙ্গল লাগোয়া গ্রামগুলিতে রাতের অন্ধকারে ব্যাপক উৎপাৎ চালালো দাঁতালের দল।
গত সাত দিন আগেই চল্লিশটি হাতির একটি দলকে বাঁকুড়ার বড়জোড়া রেঞ্জ থেকে সোনামুখী রেঞ্জ নিয়ে আসে । প্রথম দিনই হাতির হানায় বলি হন স্থানীয় কোচডিহী গ্রামের যুবক মিলন কারক। তারপর থেকে হাতির দলটি স্থানীয় সোনামুখী জঙ্গলের অবস্থান করছে।
প্রায় প্রতিদিনই রাত হলেই দাতালের দলটি নেমে আসছে স্থানীয়রা জঙ্গল লাগোয়া ধানের জমিতে মূলত খাবারের সন্ধানে। এই সময়ে পাকা ধানের মিষ্টি থোড় খাবার উদ্দেশ্যে তারা ধানের জমিতে আক্রমণ চালাচ্ছে। ৪০ টি হাতির পায়ের তলে দাবা পড়ে পাকা ধানে মই দেওয়া যাচ্ছে চাষীর সহায় সম্বল সোনার ফসল। গতরাত্রে সোনামুখী জঙ্গল লাগোয়া গ্রামের জমিগুলোতে উৎপাত চালিয়েছে এই চল্লিশ দাঁতালের দল। নষ্ট করে দিয়েছে কয়েক একর জমির ধান স্থানীয় বনপারুলিয়া,বেশিয়া এবং মাস্টারডাঙ্গা গ্রাম এলাকার।
ফের গজরাজের তান্ডব ( বাঁকুড়া )
ফের গজরাজের তান্ডব ( বাঁকুড়া )
Gepostet von ACN Life News am Montag, 12. Oktober 2020
এমনিতেই এবছর করোণা পরিস্থিতিতে লকডাউনের জেরে সমূহ ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন গ্রামের গরিব চাষিরা। তারপর কয়েকদিন আগেই উপরি পাওনা হিসেবে রোগ পোকার আক্রমণ থেকে গাঁটের কড়ি খরচ করে দেওয়া হয়েছে জীবানুনাশক তবে বেঁচেছে চাষির আশা সোনালী ফসল। কিন্তু তারপরও নিস্তার মিলছে না। চল্লিশটি হাতির একটি দল গত ছয় দিন ধরে স্থানীয় জঙ্গল রয়েছে। রাতের অন্ধকার নামা মাত্রই দাতালের দল নেমে আসছে জঙ্গল লাগোয়া জমিগুলিতে, নষ্ট করেছে বিঘের পর বিঘের জমির ধান।
গ্রামবাসীদের দাবি অবিলম্বে হাতির দল কে এলাকাছাড়া করুক বনদপ্তর । রাত পাহারায় দেওয়া হোক গ্রাম রক্ষা কমিটির হুলা পার্টি । গ্রামের মানুষের হাতে রাত পাহারায় জোগান নেই সার্চলাইটের, নেই জ্বালানি তেল সরবরাহ বনদপ্তর এর পক্ষ থেকে। বারবার বনদপ্তর এ বিষয়ে জানানো হলেও কোনো রকম হেলদোল নেই স্থানীয় বন দপ্তরের । নেই বনকর্মীদের সহযোগিতা । এমত অবস্থায় কিভাবে তাদের সোনার ফসলকে রক্ষা করবেন চাষিরা। আগামী দিনে সংসার কিভাবে চলবে সেই দুশ্চিন্তার চিন্তার ভাঁজ চওড়া হয়েছে চাষীদের কপালে।
ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির কথা স্বীকার করে নিয়েছেন বন আধিকারিক। তবে স্থানীয় মানুষকে অসহযোগিতার কথা অস্বীকার করেছেন তিনি। বনদপ্তরে পক্ষ থেকে হাতির দল কে ড্রাইভ করে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হলেও তা বিফলে গেছে সাধারণ মানুষের জন্য কারণ হাতির ড্রাইভের সময় হাতি দেখতে প্রচুর লোক ভিড় জমান যে কারণে হাতিকে সঠিকভাবে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া যায় না। তবে ক্ষতিপূরণ অনুযায়ী অর্থসাহায্য ক্ষতিগ্রস্ত চাষিরা পাবেন বলেই আশ্বাস দিয়েছেন বনদপ্তর আধিকারিক।