বার বিডিও হওয়ার পথে ২৮ বছরের ওই যুবক। কেশবের সাফল্যে উচ্ছ্বসিত মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর-২ ব্লকের দৌলতপুর পঞ্চায়েতের হরদমনগর গ্রাম। খুশির হাওয়া পরিবারে। আর্থিক প্রতিবন্ধকতাকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে ডব্লিউবিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেন মালদহের এক পরিযায়ী শ্রমিকের পুত্র কেশব দাস।লড়াইটা মোটেই সহজ ছিল না। অভাব তাঁর পরিবারের দৈনন্দিন সঙ্গী। বাবা শ্রমিকের কাজ নিয়ে ভিন্ রাজ্যে ছিলেন। তবে করোনা পরিস্থিতিতে লকডাউনের সময়ে কাজ হারিয়ে বাড়িতে থাকেন তিনি।
‘
বর্তমানে দিনমজুরি এবং অন্যের জমিতে চাষবাস করে সংসার চালান। স্কুলে দারুণ ফল না করলেও লক্ষ্যে স্থির ছিলেন কেশব। তিনি জানান, ২০১১ সালে হরদমনগর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ৫৭ শতাংশ নম্বর পেয়ে মাধ্যমিক পাশ করেন। ২০১৩ সালে দৌলতপুর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেন ৭৬ শতাংশ নম্বর পেয়ে। তার পরে মালদহ কলেজে সংস্কৃতে অনার্স নিয়ে ভর্তি হন। ২০১৬ সালে প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হন। স্নাতকোত্তর ডিগ্রির জন্য ভর্তি হন গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়। ২০১৮ সালে ৭৭ শতাংশ নম্বর পেয়ে এমএ পাশ করেন। মালদহের হস্টেলে থাকতে থাকতেই আমলা হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন কেশব। তিনি বলেন,
‘‘আর্থিক অভাবের জন্য কোনও কোচিং সেন্টারে ভর্তি হতে পারিনি। তবে নিজে টিউশন দিয়ে পড়াশোনার খরচ জোগাড় করতাম। ছোট থেকে ইচ্ছা ছিল শিক্ষক হওয়ার। তবে পরে বিসিএসের প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করি।’’ কঠোর পরিশ্রমেই সাফল্য ধরা দিয়েছে। মত কেশবের।২০২০ সালে দ্বিতীয় বার ডব্লিউবিসিএস পরীক্ষা দিয়েছিলেন কেশব। চলতি মাসের ২ ফেব্রুয়ারি তার চূড়ান্ত ফল বেরিয়েছে। ডব্লিউবিসিএসে ২৭তম স্থানে জায়গা করে নিয়েছেন ‘এগ্জিকিউটিভ’ কেশব।