এখন প্রায় প্রতি সপ্তাহেই একাধিক নতুন ফোন লঞ্চ হতে থাকে। 2007 সালে প্রথম iPhone লঞ্চের পর থেকেই মানুষের জীবনে বিপ্লব এসেছে। ছোট্ট এই ডিভাইস সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন জীবনের অংশ হয়ে উঠেছে। আপনিও হয়তো এখন এই প্রতিবেদন একটি স্মার্টফোন থেকেই পড়ছেন। বিগত 15 বছরে একের পর এক নতুন স্মার্টফোন লঞ্চ হয়েছে। সেখানে ভালো ক্যামেরা, শক্তিশালী প্রসেসর, বড় ব্যাটারি, ফাস্ট চার্জিংয়ের মতো প্রযুক্তির ব্যবহার হলেও স্মার্টফোন ডিজাইনে কোন কোন যুগান্তকারী বদল দেখা যায়নি। 2G, 3G, 4G-র পর এসেছে 5G, এতে বাড়বে ইন্টারনেট স্পিড। কিন্তু আর কতদিন বাজার শাসন করবে ছোট্ট এই ডিভাইস?অনেকেই বলছেন স্মার্টফোনের জায়গায় জায়গা করে নেবে ইলেকট্রনিক ট্যাটু।
এটি একটি ছোট্ট চিপ যা খুব সহজেই মানুষের শরীরে প্রতিস্থাপন করা যাবে। স্মার্টফোনের সব কাজ করতে পারবেন ইলেকট্রনিক ট্যাটু। ফলে সব সময় স্মার্টফোন নিয়ে ঘুরতে হবে না। বিল গেটসের মতে এই প্রযুক্তি এসে গেলে সঙ্গে স্মার্টফোন নিয়ে চলার প্রয়োজন হবে না। এই চিপ থেকেই সব কাজ করা যাবে।আগেও Nokia -র CEO পেক্কা লুন্ডমার্কও একই কথা জানিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন 2030 সালের মধ্যে স্মার্টফোনের ইন্টারফেসে ব্যাপক বদল আসতে চলেছে। তিনি জানিয়েছেন চলতি দশকের শেষের দিকে 6G প্রযুক্তি এসে যাবে। তখন স্মার্টফোনের বদলে স্মার্টচশমার মতো ডিভাইস বেশি ব্যবহার হতে দেখা যাবে।
পেক্কার জানিয়েছেন 2030 সালের মধ্যে স্মার্টফোন সম্পর্কিত অনেক কিছুই শরীরের সঙ্গে একাত্ম হয়ে যাবে।চলতি বছরের শুরুতেই স্মার্টফোনের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে একই কথা জানিয়েছিলেন মাইক্রোসফটের প্রাক্তন প্রধান বিল গেটস। তিনি জানিয়েছিলেন চলতি দশকের শেষে স্মার্টফোনের জায়গায় আসবে ইলেকট্রনিক ট্যাটু। শরীরে বসানো এই ট্যাটুতে থাকবে একটি চিপ। যা স্মার্টফোনের সব কাজ করতে পারবে। যদিও কোন কোম্পানির প্রথম এই প্রযুক্তি নিয়ে আসবে তা এখনও জানা যায়নি।