তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে ১০০ দিনের কাজে দুর্নীতি ও হেনস্থার অভিযোগ পঞ্চায়েত সদস্যার।
ঘটনাটি পান্ডুয়ার জামগ্রাম মন্ডলাই পঞ্চায়েতের অন্তর্গত সোমড়াগড়ি গ্রামে। এদিন সোমড়াগড়ি গ্রামে পঞ্চায়েত প্রধান অমিত ঘোষ এর বিরুদ্ধে ১০০ দিনের কাজে দুর্নীতি ও পঞ্চায়েত সদস্যা বৈশাখী মূর্মুর কে হেনস্থার অভিযোগে পঞ্চায়েত প্রধান অমিত ঘোষ এর বিরুদ্ধে এলাকায় পোস্টার পরে। তবে কে বা কারা এই পোস্টার লাগিয়েছে তা জানা যায়নি।
স্থানীয় বাসিন্দারা আজ সকালে উঠে দেখতে পান। আর তা নিয়েই তৃণমূলের অন্দরেই শুরু হয়েছে গুঞ্জন। পঞ্চায়েত সদস্য বৈশাখী মুর্মুর অভিযোগ, প্রধান না জানিয়ে কাজ করছে।
সেই কারণে শাসক দলের কেউ পোস্টার দিতে পারে। প্রধান আমার সাথে কোন রকম আলোচনা না করেই আমার সংসদে কাজ দিয়ে দিচ্ছে। জিজ্ঞেস করতে গেলে প্রধান ধমকি দিচ্ছে। কি কারনে করছে তা আমি বুঝতে পারছি না। তবে তিনি দুর্নীতিগ্রস্ত লোকেদের নিয়ে কাজ করতে চাইছেন। আমাকে না জানিয়ে নিজেরা কাটমানি খাচ্ছে এবং আমাদের কাছে অনেকে অভিযোগ করেছে ১০০ দিনের কাজ না করেও ব্যাংক একাউন্টে টাকা ঢুকে যাচ্ছে। পঞ্চায়েতের কাছে অভিযোগ জানালে তাকে কোনো গুরুত্বই দেওয়া হয়নি।
স্থানীয় বাসিন্দার সফিকুল বাদশার অভিযোগ, ১০০ দিনের কাজ না করেও আমার একাউন্টে ১৮০০ টাকা ঢুকেছে ।সেখানে ১২ দিনের কাজের হিসেবে দেখানো হয়েছে। আমি কোনো কাজ করিনি। আমি কাজ না করে টাকা নেব না। ফেরৎ দিতে চাই। তা জানিয়ে তিনি পঞ্চায়েতে আবেদন জানিয়েছেন। পঞ্চায়েতের প্রধান অমিত ঘোষ বলেন কোথাও কোন পোস্টার করেছে কিনা সে বিষয়ে আমার জানা নেই।
পঞ্চায়েত সদস্যকে হেনস্তা করার বিষয় তিনি কোনো অভিযোগ জানায়নি। পঞ্চায়েত সদস্য যদি লিখিত কোন অভিযোগ জানায় তা আমি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে জানাবো। তবে এক শ্রমিকের ব্যাংক একাউন্টে কাজ না করে ১০০ দিনের কাজের টাকা ঢোকায় সে বিষয়টি অভিযোগ জানিয়েছে এবং সেটি আমি দেখব।
তৃণমূলের যারা ভাল মানুষ আছে তারা বুঝতে পেরে তৃণমূলের প্রধান উপপ্রধান এর বিরুদ্ধে দুর্নীতিগ্রস্ত পোস্টার করছে। ২০২১ এ তৃণমূলের দুর্নীতিগ্রস্ত সরকার কে ছুঁড়ে ফেলে দেবে মানুষ বলে কটাক্ষ করেন বিজেপি নেতা অশোক দত্ত।