একই গ্রামেদুজন পরিযায়ী শ্রমিকের মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে চাঁচল 2 নম্বর ব্লকের ক্ষেমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মেঘডুমরা গ্রামে।এই মৃত্যুর ঘটনা ঘিরে শোকের ছায়া মালদহের চাঁচল।
করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রুখতে দেশ জুড়ে শুরু হয়েছিলো দীর্ঘ মেয়াদী লকডাউন ওই লক ডাউনে বহু পরিযায়ী শ্রমিকেরা কাজ খুইয়ে নিজের বাড়িতে চলে আসেন। ঠিক ওই সময় ওই গ্রামের দুই পরিযায়ী শ্রমিক জগদীশ ঘোষ ও দামু ওরাও। কিন্তু লকডাউন পরবর্তীতে স্বাভাবিক হওয়ার পর দামু ওরাও দিন পনেরো আগে পুনরায় আবার কাজের জন্য পাড়ি দেন ভিন রাজ্যে। সেখানে কাজ থেকে ফেরার পথে পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় তার। এই ঘটনার খবর গ্রামে পৌছতেই শোকের ছায়া নেমে এসেছে ওই গ্রামে। পরিবারের একমাত্র সম্বল ছিল দামু ওরাও। ছোট ছোট তিনটি পুত্র সন্তান ও তার স্ত্রী রয়েছে। জরাজীর্ণ বাড়ির দশা। পরিবারের একমাত্র সম্বল এর মৃত্যুতে অথৈ জলে পড়েছেন তার স্ত্রী।
2 পরিযায়ী শ্রমিকের মৃত্যুতে শোকের ছায়া ( মালদা )
2 পরিযায়ী শ্রমিকের মৃত্যুতে শোকের ছায়া ( মালদা )
Gepostet von ACN Life News am Samstag, 3. Oktober 2020
অপরদিকে ওই গ্রামেরই আর এক পরিযায়ী শ্রমিক জগদিশ ঘোষ ঠিক একই রকমভাবে লকডাউন এর জেরে বাড়ি ফিরে আসেন। দীর্ঘমেয়াদী লকডাউন থাকার ফলে আর্থিক অনটনে ভুগছিলেন তার পরিবার। আর্থিক দুশ্চিন্তার কারণে কিছুদিন আগেই হৃদরোগে আক্রান্ত হন তিনি। তড়িঘড়ি করে তাঁকে চাচোল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যেতে গেলে সেখানে কিছুদিন চিকিৎসা করার পর বাড়ি ফেরার পথে মোটর বাইক থেকে পড়ে গিয়ে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় তার। জগদীশের মৃত্যুতেও শোকের ছায়া নেমে এসেছে ওই পরিবারের মধ্যে। জগদীশের একটি পাঁচ বছর ও একটু দু’বছরের পুত্র সন্তান ও তার স্ত্রী রয়েছে পরিবারে। দামু ওরাও এর মতই জগদীশ ও তার পরিবারের একমাত্র সম্বল ছিলেন। এখন এই দুই পরিযায়ী শ্রমিক এর পরিবার একমাত্র সম্বল হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।
এদিকে ওই পরিবারগুলির পাশে দাঁড়িয়েছিলেন ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের স্বামী তথা চাচোল ২ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির বিদ্যুৎ কর্মধক্ষ প্রদ্যুৎ সিনহা।
পঞ্চায়েতে তরফ থেকে এ পরিচয় শহীদদের জন্য যে সমস্ত প্রকল্প তাদের আওতায় পড়বে তারা সব রকম তিনি সাহায্য করবেন। পাশাপাশি পঞ্চায়েত সমিতির পক্ষ থেকে যাতে এই দুটি পরিবারকে কোনোরকম সাহায্য করা যায় সে বিষয়ে তিনি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির সাথে কথা বলবেন।
এমত অবস্থায় ওই দুই পরিবারের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন মালতিপুর বিধানসভার প্রাক্তন বিধায়ক আব্দুর রহিম বক্স। তিনি এদিন ওই পরিবারগুলির বাড়িতে গিয়ে সদস্যদের সাথে কথা বলেন এবং তাদের হাতে কিন্তু আর্থিক অনুদান তুলে দেন। পাশাপাশি রহিম বক্সী জানান সরকারি প্রকল্প থেকে এই পরিবার গুলোকে যাতে সব রকমের সাহায্য করা যায় সে বিষয়ে ব্লক আধিকারিকের সাথে তিনি কথা বলবেন।