পুলিশ সূত্রে খবর, দিল্লির আদর্শ নগরের একটি সান্ধ্যকালীন স্কুলে পড়ত দীপাংশু। শারীরিক গঠনের জন্য স্কুলে তাকে নিয়ে ঠাট্টা করত সহপাঠীরা। কথা বলায় কিছু সমস্যা ছিল কিশোরের। তাকে ‘মোটা’ এবং ‘তোতলা’ বলে ডাকা হত। তার তোতলামি নিয়ে বন্ধুরা মজা করত বলে অভিযোগ। দীপাংশুর দাদা জানিয়েছে, গত বৃহস্পতিবার তার ভাইকে সকলে মিলে ঘিরে ধরে বার বার উত্ত্যক্ত করছিল। সে দিন তাদের বাবাও গিয়েছিলেন স্কুলে।
বাবার সামনেই ছেলেটিকে মারধর করা হয়।মূলত, ছেলেকে উত্ত্যক্ত করা হয়, সেই অভিযোগ শুনেই তাকে স্কুল থেকে আনতে গিয়েছিলেন দীপাংশুর বাবা সৎপল। কারণ, তার আগের দিন ছেঁড়া জামায় বিধ্বস্ত অবস্থায় তাঁর ছেলে বাড়ি ফিরেছিল। বাড়ি গিয়ে বাবার কাছে নালিশ জানায় দীপাংশু। তার পরেই স্কুলে যান সৎপল। কিন্তু অভিযোগ, তাঁর সামনেই ছেলেটিকে ঘিরে ধরে বাকিরা। তাকে মারধর করা হয়। সাত জন মিলে ছুরি দিয়ে কোপায় দীপাংশুকে।
বাধা দিতে গেলে তার বাবার পিঠেও ছুরি গেঁথে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।হাসপাতালে নিয়ে গেলে দীপাংশুকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। তবে তার বাবা বেঁচে গিয়েছেন। তাঁকে এখনও ছেলের মৃত্যুসংবাদ জানানো হয়নি বলে খবর।দীপাংশুর বাবা স্কুলে অভিযোগ জানাতে যাচ্ছিলেন বলেই প্রতিশোধ নেওয়া হয়েছে, দাবি মৃতের দাদা হিমাংশুর। অভিযুক্ত সাত কিশোরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে দু’জন দীপাংশুর সহপাঠী। বাকিরা বহিরাগত, জানিয়েছে পুলিশ। গোটা ঘটনায় তদন্ত শুরু হয়েছে।