বীরভূমের অনুব্রতমন্ডলের মেয়ের ছায়া এবার পাথরপ্রতিমায়। জয়েনিং এরপর থেকে স্কুলে না এসে বেতন পেয়ে যাচ্ছেন এক স্কুল শিক্ষিকা। ক্ষুব্ধ অভিভাবক অভিভাবী কারা।বীরভূমের অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ের ছায়া পড়লো এবার পাথরপ্রতিমার পুর্ব বনশ্যামনগর অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। ২০২১ সালের ২০ শে জুলাই এই স্কুলে যোগ দিয়েছিলেন বাঁকুড়া থেকে আসা এক নতুন শিক্ষিকা মুন্না কুন্ডু।
জয়নিং এর পর আর স্কুলে আসেননি। অথচ বাড়িতে বসে বসে বেতন পেয়ে যাচ্ছেন ঐ শিক্ষিকা।আর বেতন পাওয়ার মূলে রয়েছেন সার্কেলের স্কুল সাব ইন্সপেক্টর চৈতন্য দেব সাহা। এমনই এক মারাত্মক অভিযোগ তুলেছেন পাথরপ্রতিমা ব্লকের পুর্ব বনশ্যামনগর অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয় এর ভিলেজ এডুকেশন কমিটির সদস্য থেকে অভিভাবক অভিভাবিকা ও ওই স্কুলের বর্তমান প্রধান শিক্ষিকা।
ছাত্র-ছাত্রী থেকে অভিভাবক অভিভাবিকা যারা ঐ শিক্ষিকার এখনও পর্যন্ত চোখে দেখেননি। অভিভাবক এবং ভিলেজ এডুকেশন কমিটির সদস্যদের অভিযোগ স্কুলের এস আই এস-এর সহযোগিতায় স্কুলে আসছেন না মুন্না কুন্ডু। বাড়িতে বসে মাইনে পেয়ে যাচ্ছেন। এস আই এস-এর নির্দেশে অন্য শিক্ষিকা মুন্না কুন্ডু।এলাকাবাসীর প্রশ্ন উপস্থিত এর খাতায় সই নেই, রিটার্নে মুন্না কুন্ডু স্বাক্ষর না করে
কিভাবে মাইনা তুলছেন তাহলে কি তার পরিবর্তে কোন শিক্ষিকা সই করছেন? আরো অভিযোগ স্কুলের সাব ইন্সপেক্টর অবৈধভাবে স্কুলের ঐ শিক্ষিকা মুন্না কুন্ডুর পরিবর্তে দুজন অস্থায়ী শিক্ষক রাখেছেন, প্রত্যেক শিক্ষককে মাসে ২ হাজার টাকা করে একাউন্টে পাঠান স্কুলে না আসার শিক্ষিকা মুন্না কুন্ডু।প্রশ্ন উঠছে এস আই এস এলাকার ছাত্রছাত্রীদের স্বার্থ, না দেখে কেন তিনি এই শিক্ষিকাকে ওই সমস্ত সুযোগ দিয়ে যাচ্ছেন? এর স্বার্থ কি? কেন তিনি এই জিনিসগুলো নিজ হাতে ডিল করে প্রতিমাসে ঐ শিক্ষিকার বেতন পাইয়ে দিচ্ছেন?
উল্টে স্কুলের ৫ মাস আগে জয়েন্ট করা বর্তমান প্রধান শিক্ষককে নির্দেশ দিয়েছেন -ওই স্কুলে আগে মুন্না কুন্ডুর যেভাবে কর্মদিন দেখানো হতো এবং বেতন পেতেন সেই ভাবে এখনো করতে হবে এই কথা বলতে বলতে ভিসি কমিটির সামনে ভয়ে চোখে জল এসে গেল ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষিকার। এদিকে এস আই এস চৈতন্য দেব সাহা কে জিজ্ঞাসা করলে তিনি প্রসঙ্গ ঘুরিয়ে দেন।
এবং জানান উনি মেডিকেল লিভ এবং মাতৃত্বের ছুটি র জন্য আবেদন করেছেন। কিন্তু প্রশ্ন এই ছুটি মঞ্জুর হওয়ার আগে কিভাবে তিনি স্কুলের না এসে বেতন পান? এ নিয়ে স্কুলের সাব ইন্সপেক্টর এর ভূমিকা ও স্বচ্ছতা নিয়ে উঠেছে সমালোচনার ঝড়।