পোষ্য সারমেয়কে পরিবারের একজন বলেই মনে করেন৷ কিন্তু এই কুকুর পুষতে গিয়েই বেজায় বিপাকে পড়লেন চিনের বাসিন্দা এক মহিলা!চিনের ওই পরিবারটি প্রায় দু’ বছর ধরে কুকুর ভেবে বাড়িতে একটি প্রাণীকে পুষছিল৷ কিন্তু সেই শাবকটি একটু বড় হতেই ওই পরিবারটি বুঝতে পারে, কুকুর ভেবে আসলে এতদিন একটি ভাল্লুক শাবককে বড় করছিলেন তাঁরা!চিনের সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, ঘটনাটি ঘটেছে চিনের গ্রামীণ এলাকার ইউনানের কুনমিংয়ের কাছে৷ সেখানকার বাসিন্দা এক মহিলা সু ইউন নিজের স্বামীর সঙ্গে দু’ বছর আগে একটি পেট শপ থেকে কুকুরে বাচ্চা কিনেছিলেন৷
দোকানদার তাঁদের একটি কুকুর ছানা দিয়ে সেটিকে ‘টিবেটিয়ান ম্যাস্টিফ’ প্রজাতির সারমেয় বলে দাবি করেছিলেন৷ এই প্রজাতির কুকুরগুলি আকারে অনেক বড় হয়৷ তাই সাত পাঁচ না ভেবেই সেই শাবকটিকে বাড়ি এনে বড় করতে থাকে ওই দম্পতি৷ কিন্তু দু’ বছর পর শাবকটি একটু বড় হতেই তারা সেটির আসল পরিচয় বুঝতে পারেন।কুকুর ছানা ভেবে যে শাবকটিকে বাড়িতে এনেছিলেন, প্রথম থেকেই সেটির খাওয়া দাওয়া দেখে তাঁদের সন্দেহ হতে শুরু করে৷ প্রথমত, সাধারণ কুকুর ছানাদের থেকে সেটি অনেক বেশি পরিমাণে খেত৷ প্রায় প্রতিদিনই কুকুর ছানাটি এক বাটি ফল, দু’ বালতি নুডলস খেয়ে নিত৷ দু’বছরের মধ্যেই ওই শাবকটির ওজন প্রায় আড়াইশো পাউন্ড হয়ে যায়৷
কিন্তু যেহেতু দোকানদার এটি বিশেষ প্রজাতির কুকুর বলে দাবি করেছিলেন, তাই সন্দেহ হলেও বিষয়টি নিয়ে বেশি ভাবেননি ওই দম্পতি৷তবে কিছুদিনের মধ্যেই কুকুর ছানা ভেবে যাকে বড় করছিলেন, সেই প্রাণীটি দু’ পায়ে ভর দিয়ে হাঁটতে শুরু করে! তখনই দম্পতি বুঝতে পারেন, আসলে কুকুর ভেবে এতদিন ভাল্লুককে বড় করছিলেন তাঁরা৷বিষয়টি বুঝতে পেরেই পুলিশে খবর দেন ওই মহিলা৷ পুলিশ এসে বিশেষজ্ঞদের সাহায্য নিয়ে নিশ্চিত হয়, কুকুর নয়, আসলে ভাল্লুককেই বাড়িতে পুষছিল ওই দম্পতি৷ তাও আবার অত্যন্ত হিংস্র প্রজাতির এশিয়ান ভাল্লুক৷ যার ওজন ৪০০ পাউন্ট পর্যন্ত হতে পারে৷ শেষ পর্যন্ত বন দফতরের কর্মীরা এসে ভাল্লুকটিকে উদ্ধার করে নিয়ে যান৷