ঘূর্ণিঝড় আমফানের তান্ডবে বিধ্বস্ত সুন্দরবনের গোসাবা ব্লকের রাঙাবেলিয়া এলাকায় বাঁধের ক্ষতি হয়।সেই বাঁধ দ্রুততার সঙ্গে সংস্কার করে রাজ্য সেচ দফতর।আর এই বাঁধ নির্মাণের সময় অনেকের জমি চলে যায় বাঁধের মধ্যে এবং ঘূর্ণিঝড় আমফানের তাণ্ডবে অনেকের জমি নদীর গর্ভে চলে যায়।
আর সেই জমির ক্ষতিপূরণের দাবি প্রায় ৬০ জন জমির মালিক বাঁধের উপর দাঁড়িয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে।ঘূর্ণিঝড় আমফানের তান্ডবে রাঙ্গাবেলিয়া বিদ্যা নদীর প্রায় দেড় হাজার মিটার বাঁধ ভেঙে নোনা জল ঢুকে যায় লোকালয়ে।এমনকি অনেকের চাষের জমি চলে নদীর গর্ভে।ফলে অসহায় হয়ে পড়ে জমির মালিকরা।ক্ষতিগ্রস্তরা বার বার ছুটে যায় বিভাগীয় দফতর গুলিতে।
কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি।ফলে ঘূর্ণিঝড় আমফানে ক্ষতিগ্রস্ত জমির মালিকরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে জমির ক্ষতিপূরণের দাবিতে বৃহষ্পতিবার বিকালে গোসাবা ব্লকের রাঙাবেলিয়া এলাকায় বাঁধের উপর দাঁড়িয়ে রীতিমতো মিছিল করে শুরু করলেন গণ আন্দোলন।বিক্ষোভকারীরা অভিযোগ করে বলেন ঘূর্ণিঝড় আমফানের তান্ডবে নদীর বাঁধ ক্ষতি হয় এবং জমি নদীর গর্ভে চলে যায়।
এখনও পর্যন্ত সরকার কোন সুযোগ সুবিধা দেয়নি।এমনকি ক্ষতিগ্রস্ত জমির জন্য কোন অর্থ দেয়নি।পাশাপাশি এখন পর্যন্ত রিং বাঁধ ঠিক মতন দেওয়া হয়নি।যার ফলে এই গণ আন্দোলন বিক্ষোভ অবস্থান।এবিষয়ে ‘সুন্দরবন নদীবাঁধ ও জীবন জীবিকা রক্ষা’ কমিটির অন্যতম সদস্য চন্দন মাইতি বলেন সমগ্র সুন্দরবন এলাকার ৭২ টি জায়গা থেকে আমাদের এই গণআন্দোলন শুরু হয়েছে।
সরকার কে অবিলম্বে ঘূর্ণিঝড় আমফান, বুলবুলে ক্ষতিগ্রস্ত জমির মালিকদের কে প্রাপ্য টাকা দিতে হবে।সুন্দরবন উপকূল এলাকায় নদীগর্ভে তলিয়ে যাওয়া জমির ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।এমনকি বর্ষাকাল বাদ দিয়ে খরা কালে সুন্দরবন এলাকায় স্থায়ী নদীবাঁধ তৈরী করতে হবে।
আর তা না হলে আগামী দিনে সুন্দরবনের মানুষজন বৃহত্তর থেকে বৃহত্তর গণআন্দোলনে সামিল হতে বাধ্য থাকবে।এদিন এই প্রতিবাদ মিছিলে এলাকার মহিলাদের সংখ্যাছিল নজরকাড়া।গোসাবা বিডিও সৌরভ মিত্র বলেন বিষয়টি নজরে এসেছে।পূর্ণ তদন্ত বিষয়টি ঊধর্তন কতৃপক্ষ কে জানানো হবে।