৪ দফা দাবিতে মাল্টিপারপাস হেলথ ওর্যারকাদের ধর্না।
বাঁকুড়া মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের দফতরের সামনে বিভিন্ন দাবি দাওয়া নিয়ে ধর্না অবস্থান মাল্টিপারপাস হেলথ ওর্যারকার দের। টানা ১০ দিন ধরে ধর্না অবস্থান পালন করছেন বাঁকুড়া জেলার ২৪ জন কর্মী। আন্দোলনরত কর্মীদের কথায় ২০১০ সালে মাল্টি পারপাস হেলথ ওর্যাকার হিসেবে বাঁকুড়া জেলার বিভিন্ন ব্লকে নিজুক্ত হয় ওই কর্মীরা।
ম্যালেরিয়া নিয়ত্ত্রন, ডাটা এন্ট্রি, এইডস, হেলথ ক্যাম্প এমন নানান গুরুত্বপুর্ণ কাজের সাথে জুক্ত ওই কর্মীরা। বর্তমানে কোভিড পরিস্থিতিতে থার্মাল স্ক্রিনিং, স্বোয়াব কালেকশন, কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে ডিউটি এমন গুরুত্বপুর্ন কাজও করতে হচ্ছে এই কর্মীদের। অথচ কাজের নিরিখে কর্মীদের সেই ভাবে গুরুত্ব দিচ্ছে না স্বাস্থ্য দফতর। আন্দোলন রত কর্মীদের অভিজোগ, একেবারেই নুন্যতম বেতনের বিনিময়ে তাদের কাজ করতে হচ্ছে। দীর্ঘ ১০ বছর কোনও ইনক্রিমেন্ট হয়নি, ১ বছরের ট্রেনিং দেওয়ার কথা থাকলেও সেই বিষয়টিকেও গুরুত্ব দেয়নি স্বাস্থ্য দফতর।
কর্মীদের অভিজোগ বার বার বিভিন্ন দাবি দাওয়া নিয়ে স্বাস্থ্য দফতরের নজরে আনলেও সুধু মিলেছে প্রতিশ্রুতি। এবার নিজেদের ন্যাহ্য দাবি আদায়ে আন্দোলনের পথ বেছেনিলেন মাল্টিপারপাস হেলথ ওর্যারকারের ২৪ জন কর্মী। স্বায়ীকরন, ৯ বছর ধরে ইনক্রিমেন্ট না হওয়ায় এরিয়ার সহ বেতন প্রদান, কর্মীদের পে স্কেলের আওতায় আনা এবং ১ বছরের ট্রেনিং এর ব্যবস্থা এমন ৪ দফা দাবি নিয়ে ধর্না ও অবস্থান কর্মসুচী পালন করছেন ওই কর্মীরা। দাবি না মানলে আরও বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন আন্দোলনরত কর্মীরা।
এদিকে কর্মবিরতি করে কর্মীদের এই আন্দোলনের জেরে করোনা পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য দফতরের কাজে সমস্যার সৃস্টি হচ্ছে। মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের দাবি করোনা পরিস্থিতিতে সমস্ত কর্মিরা যখন কাজ করছেন তখন এই আন্দোলন কাম্য নয়। তবে কর্মীদের ধর্না এবং দাবির বিষয়টি তিনি উর্ধতন কর্তিপক্ষকে জানিয়েছেন বলে দাবি মুখ্য স্বাস্থ্য আদিকারিক।