ইংল্যান্ডের ব্রাডফোর্ডের বাসিন্দা গ্লিনের অপরাধের বিবরণ শুনলে গায়ে কাঁটা দিয়ে উঠবে।এক সঙ্গে ১৭টি যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের মুখোমুখি হন ব্রিটেনের অন্যতম কুখ্যাত শিশুদের যৌননিগ্রহ করা অপরাধী। ৪০টি অপরাধে তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। এই অপরাধীকে কারাগারে ১০০ বছরেরও বেশি আটকে রাখা উচিত ছিল বলেও আদালতের বিচারক জানিয়েছিলেন। কুখ্যাত এই অপরাধীর নাম গ্লিন কেনিয়ন।মাছের খাদ্য প্রস্তুতকারী এবং পাথর কাটাই কর্মী হিসাবে কাজ করত কেনিয়ন। হ্যালিফ্যাক্সের একজন মহিলাকে খুনের চেষ্টার জন্য দোষী সাব্যস্ত হয় সে। ওই মহিলাকে এলোপাথাড়ি ভাবে আক্রমণ করে তাকে খুন করার চেষ্টা করার অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ।
দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয় আদালত। তার এটা এক মাত্র অপরাধ ছিল না। দুই নাবালিকাকে দিনের পর দিন যৌন নির্যাতন করার জন্যও তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। এর জন্যও তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা শোনানো হয়।কেনিয়ন ধরা পড়ার পর নির্যাতিতারা ব্র্যাডফোর্ড ক্রাউন কোর্টে এসে তার জঘন্য অপরাধের বর্ণনা দেন। ওই দুই নাবালিকা তখন প্রাপ্তবয়স্ক। কেনিয়ন ধরা পড়েছে শুনেই বুকে সাহস ভর করে তাঁরা পুলিশের কাছে পৌঁছন।আইনজীবীদের একাংশের মতে, কেনিয়ন ব্রিটেনের জঘন্যতম যৌন হেনস্থাকারী। এই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বব ব্রিজস্টকের মতে, তাঁর কর্মজীবনে কেনিয়নের মতো বিকৃত মানসিকতার অপরাধী দেখেননি।
দুই নাবালিকার শৈশব কেড়ে নিয়েও কেনিয়নের কোনও অনুশোচনা ছিল না বলেও বব দাবি করেছিলেন।আদালতের জুরিরা কেনিয়নকে ৪০টি অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করে। যার মধ্যে আটটি ধর্ষণ, ছ’টি গুরুতর যৌন অপরাধ এবং ছ’টি যৌন নির্যাতনের অভিযোগ ছিল।কেনিয়নের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, সে নির্যাতিতাদের উপর শরীরিক অত্যাচার করত এবং তাদের খুন করার হুমকি দিত। এক নির্যাতিতাকে পতিতাবৃত্তিতে নামানোর জন্য অশ্লীল ছবি তুলে ভয় দেখানোর অভিযোগও উঠেছিল কেনিয়নের বিরুদ্ধে।নির্যাতিতাদের যখন পাঁচ বা ছয় বছর বয়স, তখন থেকে তাদের নির্যাতন শুরু করে কেনিয়ন। এদের মধ্যে এক জন নাবালিকা দু’বার অন্তঃসত্ত্বাও হয়ে পড়ে।ধর্ষণ করার পাশাপাশি নির্যাতিতাদের উত্তপ্ত ধাতু বা মোম দিয়ে ছ্যাঁকা দেওয়া এবং সূচ দিয়ে শরীরে ক্ষত করার অভিযোগও ছিল কেনিয়নের বিরুদ্ধে।