এক জীবনবিমা কোম্পানি ঐন্দ্রিলাকে উদ্দেশ্য করে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। ঐন্দ্রিলার নামে মানুষের পাশে থাকার উদ্যোগ নিলেন তারা। সেখানে ঐন্দ্রিলার পক্ষ থেকে উপস্থিত হয়েছিলেন শিখা শর্মা।যত দিন বাঁচব হাহাকার নিয়ে থাকতে হবে,’’ অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা চলে যাওয়ার পর এই প্রথম জনসমক্ষে কথা বললেন নায়িকার মা। এই বলতেই হাউমাউ করে কেঁদে ভাসালেন তিনি।ঐন্দ্রিলার কে এখন সবাই চেনে তবে সে আর আমাদের মধ্যে নেই তবে তার কর্ম আমাদের মধ্যে এখনো বেঁচে আছে।
প্রতিটি মানুষের মনে এখনও ঐন্দ্রিলার মৃত্যুর যন্ত্রণা যেন দগদগে ঘা হয়ে আছে ৷ প্রকৃতির স্বাভাবিক নিয়মেই ঐন্দ্রিলা শর্মার পরিবার ও সব্যসাচীকে এই মৃত্যু যন্ত্রণা কাটিয়ে উঠতে হবে ৷ প্রতিটি মুহূর্তেই ঐন্দ্রিলার স্মৃতি আঁকড়ে আছেন মা, দিদি ও পরিবারের সকলে ৷সব্যসাচী সোশ্যাল মিডিয়া থেকে বিদায় নিয়েছেন ৷ যেন যন্ত্রণার চক্রব্যূহে অভিমন্যু হয়ে পড়েছেন সবাই ৷ ভাল নেই কেউ মেয়েকে হারিয়ে মায়ের বুক ফাটা কান্না যেন ইঁট কাঠ পাথরের শহরে বারেবারে চোখ ভরিয়ে দিচ্ছে ৷ পরিবারের লোকেরা একে অপরকে সাপোর্ট দিচ্ছেন যাতে এই খারাপ সময় থেকে সবাই আস্তে আস্তে নিষ্কৃতি পান ৷ ঐন্দ্রিলার বাবা এক জনপ্রিয় পত্রিকা কে জানিয়েছেন যে ,আগামী ফেব্রুয়ারি-মার্চে ঐন্দ্রিলা ও সব্যসাচীর চার হাত এক করার কথা ছিল ৷
এই নিয়ে সব্যসাচীর, বাবার সঙ্গে কথাও হয় ৷খুব তাড়াতাড়ি পাকাদেখার কথা নিয়ে ঐন্দ্রিলার বাড়িতে সব্যর বাবা-মায়ের যাওয়ার কথা ছিল ৷ মা জানিয়েছেন অনেক পরিকল্পনাই ছিল কিন্তু সবই ভেস্তে গিয়েছে ৷২০১৭ সালে ঝুমুরের সেটে আলাপ ৷ সব্যসাচী ও ঐন্দ্রিলার আলাপ তার পড়েই দানা বাঁধতে থাকে সম্পর্ক ৷ ভাল ও খারাপ সব সময়েই সব্যসাচী ঐন্দ্রিলার পরিবারের ঢাল হয়েছিলেন ৷
গত ২০ নভেম্বর চিরকালের জন্য বিদায় নিয়েছেন ঐন্দ্রিলা শর্মা ৷ দু’বার ক্যান্সারকে হারালেও এবার ব্রেনস্ট্রোক হওয়ার পরে পয়লা নভেম্বর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়ে ঐন্দ্রিলাকে ভেন্টিলেশন থেকে কোমা বারেবারে আশার আলো জ্বললেও সব লড়াই শেষ হয় ২০ নভেম্বর, ২০২২ ৷তোমাকে আমাদের তরফ থেকে অনেক ভালোবাসা।