ভূল করে এক সদ্যজাতকে একই টিকার ডাবল ডোজ দেওয়ার অভিযোগকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়াল বাঁকুড়ার গোগড়া গ্রামীন হাসপাতালে । এই ঘটনায় কর্তব্যরত নার্সের শাস্তির দাবী তুলে বিক্ষোভ দেখাল শিশুর পরিবারের লোকজন । বিক্ষোভ সামাল দিতে শেষ পর্যন্ত হাসপাতালে যেতে হয় কোতুলপুর থানার পুলিশকে । হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ শিশুটির পরিবারের অভিযোগ স্বীকার করে নিয়েছে । স্বাস্থ্য দফতরের দাবী ভূল করে টিকার ডাবল ডোজ দেওয়া হলেও শিশুটি সুস্থ রয়েছে । তাকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে ।
স্থানীয় ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে শিরোমনিপুর গ্রামের গৃহবধূ মৌসমা খাতুন গোগড়া গ্রামীন হাসপাতালে গতকাল এক কন্যা সন্তান প্রসব করেন । রোগীর পরিবারের দাবী প্রসবের পর গতকাল সদ্যজাতকে প্রয়োজনীয় টিকা দেওয়া হয় । আজ দুপুরে হাসপাতালের তরফে প্রসুতির নাম ধরে ডাকলে পরিবারের লোকজন সদ্যজাতকে নিয়ে হাসপাতালের নার্সদের কাছে যান । অভিযোগ সেই সময় ফের কর্তব্যরত এক নার্স শিশুটিকে পুনরায় সেই টিকা দিতে উদ্যোগী হলে পরিবারের
লোকজন ওই নার্সকে গতকালের ইঞ্জেকশান দেওয়ার কথা জানায় । কিন্তু তারপরও টিকার কার্ড না দেখেই কর্তব্যরত নার্স শিশুটিকে পুনরায় ওই টিকা দেন বলে পরিবারের অভিযোগ । বিষয়টি জানাজানি হতেই হাসপাতালের নার্সরা রোগীর পরিবারকে বিষয়টি অন্যত্র না জানানোর জন্য চাপ দেয়
বলেও অভিযোগ ।
এরপরই শিশুর পরিবারের লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে হাসপাতালে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে । কর্তব্যরত ওই নার্সের শাস্তির দাবী তোলেন শিশুর পরিবারের লোকজন । শিশুর পরিবারের আশঙ্কা টিকার ডাবল ডোজের প্রভাবে শিশুটির শরীরে প্রাথমিক ভাবে তেমন কোনো প্রতিক্রিয়া দেখা না গেলেও পরবর্তীতে কোনো শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে । একই টিকার ডাবল ডোজ দেওয়ার কথা স্বীকার করে নিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ । স্বাস্থ্য দফতরের দাবী ডাবল ডোজ প্রয়োগ হলেও চিন্তার তেমন কিছু নেই । তা সত্বেও ওই শিশুকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে ।