বাঁকুড়া, ১৯ জুলাই : মারুতি ভ্যান থেকে উদ্ধার কর হল চার শিশুসহ দুই মহিলাকে । বাঁকুড়ার কালপাথর এলাকার ঘটনা । অভিযোগের তীর জহর নবোদয় বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ কমল কুমার রাজোরিয়ার বিরুদ্ধে ।
বাঁকুড়ার কালপাথর এলাকায় দুই শিশুকে জোর করে একটি মারুতি ভ্যানে তোলার চেষ্টা চালাচ্ছিলেন জহর নবোদয় বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ কমল কুমার রাজোরিয়া । বিষয়টি নজরে আসে স্থানীয়দের । এরপরই এলাকার মানুষ ওই গাড়িটিকে ঘিরে রাখলে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান অধ্যক্ষ কমল কুমার রাজোরিয়া । মারুতি ভ্যান থেকে উদ্ধার করা হয় চার শিশু সহ দুই মহিলাকে । খবর পেয়ে ঘটনাস্থানে পৌঁছায় বাঁকুড়া থানার পুলিশ ।
অধ্যক্ষ কমল কুমার রাজোরিয়াকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য । জানা যায়, দুর্গাপুরের মেনগেট ও কাদারোড এলাকা থেকে শিশুদের কিনে এনে রাজস্থানসহ বিভিন্ন জায়গায় পাচার করার পরিকল্পনা ছিল অধ্যক্ষর । এজন্য শিশুদের মায়েদেরকে দেওয়া হয়েছিল লক্ষাধিক টাকাও । সপ্তাহ খানেক আগে এই ভাবেই ন’মাসের একটি শিশুকে কাদারোড এলাকা থেকে এনে নবোদয় স্কুলেরই সুষমা শর্মা নামের এক নিঃসন্তান শিক্ষিকাকে বিক্রি করেছিলেন বলে জানতে পারে পুলিশ । অন্য দুটি শিশু সন্তানকেও একই ভাবে বিক্রি করার উদ্যেশ্যে সম্প্রতি স্কুল চত্বরে থাকা অধ্যক্ষর কোয়ার্টারে এনে রাখা হয় বলে অভিযোগ ।
পুলিশ এখনও পর্যন্ত মোট পাঁচ জন শিশুকে উদ্ধার করেছে । প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, নিঃসন্তান দম্পতিদের কাছে মোটা অঙ্কের টাকায় বিক্রির উদ্যেশ্যেই এই চক্রের জাল বিছিয়েছিল অধ্যক্ষ । শিশুগুলিকে যৌন হেনস্থা করা হত কিনা তা জানতে উদ্ধার হওয়া পাঁচ শিশুর মেডিক্যাল পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুলিশ । এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় অধ্যক্ষ ও একজন শিক্ষিকাসহ মোট আট জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ । এদিন তাঁদের বাঁকুড়া জেলা আদালতে পাঠানো হয় । এই চক্রে আরও কেউ যুক্ত রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ ।