ভর সন্ধ্যায় মালদা শহরের প্রাণকেন্দ্রে তখন লোকজনের ভিড়।চিকিৎসক দম্পতির গাড়ি আটকে বেধড়ক পেটাচ্ছে দুস্কৃতীরা। যদিও পুলিশ সেখানে উপস্থিত।কিন্তু ওই চিকিৎসক দম্পতিকে বাঁচানোর পরিবর্তে মোবাইল ক্যামেরায় ছবি তুলতে ব্যস্ত পুলিশ।প্রকাশ্যে গুণ্ডারাজের পাশাপাশি পুলিশের এই নিস্ক্রিয়তা ও অমানবিক আচরণের সাক্ষী থাকলেন মালদা শহরবাসী।
রক্তাক্ত অবস্থায় চিকিৎসক দম্পতিকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন । মালদা শহরের রাজ হোটেল মোড় এলাকার এই ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকা জুড়ে । লিখিত অভিযোগের পরও এখনও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি ইংরেজবাজার থানার পুলিশ ।
মালদা জেলার পরানপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মেডিকেল অফিসার মোহাম্মদ ওয়াসিমুল হক । পরানপুর গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে কাজ শেষে চিকিৎসক ওয়াসিমুল ও তার স্ত্রী শেফালী সরকার মালদা শহরে পিরোজপুর এলাকায় এক আত্মীয়ের বাড়িতে যাচ্ছিলেন । ঠিক সেই সময় রাজ হোটেল মোড় এলাকায় এই দম্পতির গাড়ি আটকায় স্থানীয় কয়েকজন দুষ্কৃতী ।
ট্রাফিক সিগন্যালের পুলিশের সামনেই এই দম্পতিকে গাড়ি থেকে নামিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয় এমনকি চিকিৎসকের স্ত্রীর শ্রীলতাহানি ও করা হয় বলে অভিযোগ । পুলিশ ও সাধারণ মানুষের সামনে প্রায় মিনিট পনেরো ধরে চলে এই নারকীয় অত্যাচার । চিকিৎসক ও তার স্ত্রী রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়ে মাটিতে ।
স্থানীয় বাসিন্দাদের তৎপরতায় চিকিৎসক দম্পতি কে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় । স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি এলাকারই একজন দুষ্কৃতী মাসুম খান ও তার দলবল এই ঘটনা ঘটিয়েছে ।যদিও এই ঘটনার পরেই স্থানীয় দুষ্কৃতী মাসুম খান সহ তার দলবল এলাকা ছেড়ে পালায় ।
রাজ হোটেল মোড় এলাকার এক ব্যক্তি আনিসুর রহমান জানান বেশ কিছুদিন ধরেই এ এলাকায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছে মাসুম খান ও তার দলবল । এর পেছনে তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতাদের মদদ রয়েছে । এলাকায় দুষ্কৃতী মূলক কাজ কর্ম থেকে শুরু করে মাদকদ্রব্য পাচার সমস্ত দেই এই মাসুম খানের নাম উঠে আসছে । তবে প্রতিবারই দুষ্কৃতী মূলক কাজকর্ম করার পর কোন এক অদৃশ্য কারণে ছাড়া পেয়ে যায় মাসুম খান সহ তার দলবল ।
পরানপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের আক্রান্ত চিকিৎসক মোহাম্মদ ওয়াসিমুল হক জানান, পরানপুর গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে মালদা শহরে ঢোকার সময় রাজ হোটেল মোড় এলাকায় কয়েকজন দুষ্কৃতী আমার গাড়ি আটকাই । কিছু বুঝে উঠার আগেই দুষ্কৃতীরা আমার স্ত্রীকে ধরে গাড়ির ভিতর থেকে টেনে বের করে । স্ত্রীকে আক্রান্ত হতে দেখে আমিও বের হয়ে গাড়ি থেকে । তারপরেই বেধড়ক মারধর করা হয় আমাকেও আমার স্ত্রীকে । আমাদের বাঁচাতে এগিয়ে আছে আমার ছোট ভাই তাকেও বেধড়ক মারধর করা হয় । আর এইসব ঘটনা ঘটে পুলিশের সামনেই । আমি লিখিত অভিযোগ জানিয়েছি ইংরেজবাজার থানা কিন্তু এখনও কাউকে গ্রেফতার করেনি পুলিশ ।