স্বামী ১৫ বছর আগেই মারা গেছে। সন্তানহীন ও পৌঢ়া তসলিমা বেওয়ার শূন্য সদস্যের পরিবারের একাই জীবনযাপন করছেন। বাঁশের বেড়া দিয়ে টিনের ছাউনি বিশিষ্ট একটি ছোট্ট কুড়ে বেশ সুখেই কাটছিল জীবনের শেষ সময়টুকু। তার মধ্যেই সব জেনে কেড়ে নিল ওই ৬৫ বছর বয়সীর পৌঢ়ার। সোমবার গভীর রাতে আগুনে ভস্মীভূত হলো ঘর। ঘটনাটি মালদহের চাঁচল ১ নং ব্লকের মহানন্দাপুর গ্রামপঞ্চায়ের এলাকার মল্লিকপাড়া গ্রামের। সোমবার ভোররাতে পৌঢ়ার চিৎকার ছুটে আসে প্রতিবেশীরা। কোনো মতেই তাকে ঘর থেকে বের করে গ্রামের মানূষ। সামন্য আহত হয়েছে ওই বৃদ্ধা। স্থানীয়রা প্রাথমিক চিকিৎসাও করিয়েছেন।
তবে প্রতিবেশীরাও আগুন নেভাতে সক্ষম হলেও সব পুড়ে ছাই হয়েছে। ঘরে মজুত খাদ্য দ্রব্য-আসবাব পত্র সব পড়ে ছাঁই হয়েছে।
দমকলকেও খবর দেওয়ার মতো লোক জুটেনি মধ্যরাতে। বাসিন্দারা অনুমান করছে মশা তাড়ানো কয়েল থেকেই আগুনের সূত্রপাত।
https://www.facebook.com/230205334351193/videos/184237726588648
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পৌঢ়া হাঁটতে
চলতে পারে না! শীতকালের হাঁড় কাপানো ঠান্ডায় খোঁলা আকাশের নীচে কাতরাচ্ছেন তসলিমা বেওয়া। গ্রামের মানুষ কারোও ইচ্ছা হলে একবেলার আহার পৌঁছে দিয়ে যায়।
কার্যত সন্তানহীন বিধবা বাসস্থানে খুইয়ে বিপাকে পড়েছে। দেখা-শোনা করার কেউ নেই বললেই চললে।
এলাকার বাসিন্দা বলেন, বৃদ্ধা এতটাই অসহায় যে সমাজে দেখা তা বিরল। তার ঘটনা শুনলে নয়নে অশ্রু থেমে থাকবে না। ৬৫ বছরে বয়স হয়েছে তবে তার বাসস্থান নিয়ে চিন্তিত সকলেই।বাস্তভিটে ছাড়া আর কিছু নেয় তার।সরকারি সাহায্য মিললে হয়তো স্বস্তি ফিরবে আসবে তার। স্থানীয় ও পঞ্চায়েত সূত্রে জানা গেছে, ওই পৌঢ়া বার্ধক্য ভাতার আওতায় রয়েছে। তবে চিন্তা আশ্রয় স্থল নিয়ে। এই শীতকালে মাথা গোজার ঠাই কোথায় পাব? ঘুম উড়েছে তসলিমা বেওয়ার।