বছর পাঁচেক আগে সবই ছিল কিন্তু হঠাৎই কালবৈশাখী বিধ্বংসী ঝড় কেড়ে নিল পরিবারের সমস্ত কিছু। গৃহহীন হয়ে ঘুরে বেড়ায় দ্বারে দ্বারে। আজ বৃদ্ধ দম্পতি একেবারেই অসহায়। মাথা গোঁজার মতো নেই কোন আশ্রয়, দু’বেলা দু’মুঠো খাবারের জন্য ঘুরে বেড়াতে হয় দ্বারে দ্বারে। বয়সের সাথে সাথে দু চোখে দেখতে পান না ঠিকভাবে। এই বয়সে স্ত্রীর হাত ধরে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যাতায়াতের ভরসা ওই বৃদ্ধের। দু’বেলা দু’মুঠো অন্ন জোগাড় করতে পারলেও সেই খাবার কোন পাত্রে খাবে সেটিও নেই। তাই তাদের কাছে এখন একমাত্র ভরসা কলাপাতা। ওই কলাপাতা তে করেই খাবার খেয়ে কোনরকমে দিন যাপন করছেন বৃদ্ধ দম্পতি। মাথা গোঁজার জন্য যে ঘরটি ছিল সে ঘরটিও ঝড়ে ভেঙে পড়েছে জায়গাটি ওয়াজ এলাকার কিছু বাসিন্দারা দখল করে নিয়েছে বলে অভিযোগ তাই মাথা গোঁজার মতো নেই কোন তাদের কাছে আশ্রয়।
চাঁচল ২ নম্বর ব্লকের ক্ষেমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের কান্ডারণ কলেজপাড়ার বছর ৬০এর উর্ধ ঝাপটু মাঝি ও চিক্রী মাঝি। এই বৃদ্ধ দম্পতি আজ গৃহহীন ভূমিহীন খাদ্যের অভাবে অসহায় হয়ে পড়ে রয়েছে। মেলেনা বৃদ্ধ ভাতা পাইনি কোনো সরকারি সাহায্য। আশ্রয়ের জন্য পঞ্চায়েত প্রধান এলাকার পঞ্চায়েত সদস্যের কাছে অভিযোগ জানানোর পরেও সমস্যার সুরাহা না হয় দিনের পর দিন সমস্যা আরও বেড়ে চলেছে। তাই আজ তারা অসহায় এই বৃদ্ধ দম্পতি আশ্রয়ের জন্য লোকের বিভিন্ন দ্বারে দ্বারে গিয়ে রাত কাটাতে হয় প্রতিবেশীরা যা খাওয়া যায় সেই খেয়ে তারা দিন যাপন করেন।
অসহায় দম্পতি ( মালদা )
Gepostet von ACN Life News am Mittwoch, 9. September 2020
ওই অসহায় বৃদ্ধা চিক্রী মাঝিরথেকে জানা যায়, ভেস্ট জমির উপর তাদের এক চিলতে একটি কুরে ঘর ছিল। কিন্তু বছর পাঁচেক আগে ঝড়ে ওই ঘরটি ভেঙে পড়ে। তার পর থেকেই ভিটেবাড়ি না থাকায় আশ্রয় হিন হয়ে পরে। বয়েসের সাথে সাথে শরীরটাও যেন ভেঙে পড়েছে। তাই অর্থের জন্য পারি দিয়েছিল ভিন রাজ্যে। সেখানেই কোনো রকমে সাফাইয়ের কাজ করে দিন যাপন করতেন। কিছু দিন হলো নিজ গ্রামে ফিরে আসে। কিন্তু এসেও যেন পড়েছেন বিপত্তিতে। তাদের সেই ভিটেটিও আজ এলাকার কিছু বাসিন্দারা দখল করেছে। তাই গ্রামে যখন যার বাড়ির সামনে রাত্রি যাপন করেন। প্রতিবেশীরা দুই বেলা তাদের অন্য যোগান দেন। তিনি আরও বলেন যে, বাড়ির জন্য ব্লক ও পঞ্চায়েত প্রশাসনকে জানিয়ে ছিলাম কিন্তু জায়গার নথিপত্র চাইছে কোথায় পাবো ওই সরকারি জমির নথি যা ছিল সবই তো নথিপত্র নষ্ট হয়ে গেছে ঝড়ে । স্বামীও আজ দুই চোখে দেখতে পায় না। অর্থের অভাবে চিকিৎসা করাতে পারছেন না।
এদিকে এই অসহায় পরিবারের কথা শুনতে পেয়ে
পরিবারটির পাশে দাঁড়ান মালতিপুর বিধানসভার প্রাক্তন বিধায়ক আব্দুর রহিম বক্সি। এদিন তিনি ওই এলাকার যান এবং পরিবারটির জন্য বেশ কিছু খাদ্য সামগ্রী সহ মাথা গোঁজানোর মতো ত্রিপলের ব্যাবস্থা করেন। তিনি বলেন, ব্লক প্রশাসনের সাথে কথা বলে পরিবারটির জন্য যেন ঘরের ব্যাবস্থা করা যায়।