করোনাময় পরিস্থিতিতেও ক্যালেণ্ডারের নিয়ম মেনে পুজো আসছে। আর এবার পুজোয় শাড়ি প্রেমীদের জন্য সুখবর নিয়ে হাজির বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরের বালুচরী শিল্পীরা। এবার সাধ্যের মধ্যে সাধ পূরণের আয়োজন তাদের। সঙ্গে এবার রয়েছে নব উৎপাদিত বালুচরিতে বৈচিত্রের ছোঁয়াও।
করোনার কাঁটায় বিদ্ধ বাঁকুড়ার হস্তশিল্পও। এই অবস্থায় একের পর এক ধুঁকতে শুরু করেছে জেলার ঐতিহ্যবাহী হস্তশিল্পগুলি। শিল্পীদের পাশাপাশি অন্যদিকে চরম আর্থিক সমস্যায় সাধারণ মানুষও। সেকারণেই এবার পুজোয় ‘সাধ্যের মধ্যে সাধপূরণে’ বাজারে আসতে চলেছে বিষ্ণুপুরের বালুচরি শিল্পীদের হাতে তৈরী ‘মেঘলা বালুচরি’। যা শাড়ি ছাড়াও চুড়িদার বা লেহেঙ্গার মতো করে পরা যাবে।
আকর্ষণ বাড়াতে বালুচরীতে বৈচিত্রের ছোঁয়া ( বাঁকুড়া )
আকর্ষণ বাড়াতে বালুচরীতে বৈচিত্রের ছোঁয়া ( বাঁকুড়া )
Gepostet von ACN Life News am Montag, 31. August 2020
শিল্পী অমিতাভ পাল বলেন, এই শাড়িতে দু’টো খণ্ড রয়েছে। নিচের অংশ পেটিকোটের মতো, উপরেরটা উত্তরীয়ের মতো। চাইলে উপরের অংশ নিচে বা নিচের অংশ উপরে পরা যায়। একই সঙ্গে কোন সহযোগী ছাড়াই দ্বিখণ্ডিত এই শাড়ি পরা সম্ভব। একই সঙ্গে তিনি জানান, বালুচরির সমস্ত বৈশিষ্ট অক্ষুন্ন রেখে এই শাড়ি তৈরী হয়েছে। পার্থক্য শুধুমাত্র বালুচরি যেখানে খুব ভারী, মেঘলা বালুচরি খুব হালকা ও আরামদায়ক।
আগে এই শিল্পী যেখানে দেড় লাখি বালুচরি তৈরি করেছেন, বর্তমান কোভিড পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষের কথা ভেবে তিনিই ৭ থেকে ১২ হাজার টাকা মূল্যের এই মেঘলা বালুচরি তৈরী করছেন। আর অভিনব এই কাজে তন্তুজ সহায়তা করেছে বলে তিনি জানান।
মেঘলা বালুচরী হাতে পেয়ে খুশী শাড়ি প্রেমীরাও। ঝুমু পাল বলেন, বালুচরী সাধারণত খুব ভারী হয়। দীর্ঘক্ষণ পরে থাকলে অস্বস্তি হয়। নব উৎপাদিত এই মেঘলা বালুচরি খুব হালকা। দীর্ঘক্ষণ পরে থাকা যায়। আরামদায়কও বটে বলে তিনি জানান।