বাঁকুড়া, ১৭ জুলাই : গত 7 মাস আগে ভেঙ্গে গেছে সেতু । গ্রামবাসীরা বারংবার প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছেন । কিন্তু মেলেনি কোনও সুরাহা । জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলছে পারাপার ।
জানা যায়, স্বাধীনতার বহু আগে বাঁকুড়ার পাত্রসায়রের হাতি তলা থেকে বর্ধমান যাবার গ্রামীণ সড়কের ওপর স্থানীয় একটি খালে চুন-সুরকি ও ইঁট দিয়ে একটি সেতু তৈরী হয় । সেভাবেই চলছিল বহু বছর। কিন্তু প্রায় সাত মাস আগে ঐ সেতুর একাংশ ভেঙ্গে পড়ে । চরম সমস্যায় পড়েন ইন্দাস-পাত্রসায়ের ব্লক এলাকার অসংখ্য মানুষ।
স্থানীয় মানুষ জানিয়েছেন , খালের দুই পারে এলাকার মানুষের বহু চাষের জমি রয়েছে । সেতু ভেঙ্গে পড়েছে । ফলে ট্রাক্টর, গোরুর গাড়ি নিয়ে খাল পেরিয়ে চাষ করতে যাওয়া সম্ভব হচ্ছেনা । এই অবস্থায় মাত্র এক কিলোমিটার রাস্তা এখন প্রায় ২০ থেকে ২৫ কিলোমিটার ঘুরে পৌঁছাতে হচ্ছে । এমনকি ওই রাস্তা দিয়ে চলত পাত্রসায়ের বর্ধমান রুটের বেশ কয়েকটি বাস । সেতু ভেঙে যাওয়ায় বর্তমানে বাস চলাচলও বন্ধ রয়েছে । চরম সমস্যায় সংশ্লিষ্ট এলাকার মানুষ । সেতু পুনঃর্নিমাণে ইতিবাচক প্রশাসনিক উদ্যোগ চোখে পড়েনি বলেই এলাকার মানুষের দাবি ।
ইন্দাস ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি শেখ হামিদ এর দাবি, ওই সেতুটি ডিভিসির আওতায় পড়ে । পাত্রসায়ের ব্লক-এর পক্ষ থেকে বিষয়টি ডিভিসি কে এবং এসডিও, ডিএমকেও জানানো হয়েছে । পাশাপাশি তিনি বিজেপিকে কটাক্ষ করে বলেন, “কয়েকদিন আগেই বিজেপির কেন্দ্রীয় এবং রাজ্যের নেতৃত্বরা বিভিন্ন জায়গায় বক্তব্য রাখছিলেন । এখন তাঁরা কোথায় ? তাঁদের তো এটা নৈতিক কর্তব্যোর মধ্যে পড়ে । এলাকায় এমএলএ রয়েছে । কিন্তু কী কাজ করে সেটা আমাদের চোখে পড়ে না । তিনি একটা কাজই করেন, যেখানেই যান ছবি তুলে ফেসবুকে পোস্ট করেন । এমনকি আমাদের বিধায়ক কোথাও ভাল কাজ করেননি ।”
প্রতিক্রিয়ায় ইন্দাস বিধানসভা বিজেপি বিধায়ক নির্মল কুমার ধারা বলেন, “আমি তো তিন মাস বিধায়ক পদে বসেছি । আমার দিকে আঙুল না তুলে যারা বারবার বলছে উন্নয়ন হয়েছে, উন্নয়ন হয়েছে, তারা নিজেদের দিকে আঙ্গুল তুলুন । যে কি উন্নয়ন হয়েছে !”
বিষ্ণুপুরের মহকুমাশাসক অনুপ কুমার দত্ত এবিষয়ে বলেন, “জেলা প্রশাসন ও জেলা পরিষদকে বিষয়টি জানানো হয়েছে । ঐ জায়গায় একটি ‘বক্স কালভার্ট’ তৈরীর ভাবনা রয়েছে ।”