আমাদের মধ্যে প্রচুর ডায়াবিটিস রোগী রয়েছেন। এই মানুষগুলি গরম জলে স্নান করলে সমস্যা তৈরি হতে পারে। তাই সতর্ক হওয়ার চেষ্টা করুন।শীত পড়ে গিয়েছে। অসংখ্য মানুষ এই সময়ে ঠান্ডা জলে স্নান ছেড়েছেন। বরং গরম জলে একটু আরাম খুঁজছেন তাঁরা। ডায়াবিটিস খুবই জটিল অসুখ। এই রোগ থাকলে ইনসুলিন হরমোন কাজ করতে পারে না বা তৈরি হয় না পর্যাপ্ত পরিমাণে।
তাই রক্তে সুগার বাড়ে। এবার রক্তে শর্করা বাড়লে তা অঙ্গের ক্ষতি করে। তাই বলা হয় ফাস্টিং ১২৬ মিলিগ্রাম/ডেসিলিটারের নিচে রাখার কথা।এই মানুষগুলি মূলত টাইপ ২ ডায়াবিটিসে ভুগছেন। এনাদের বয়স ২৫ এর বেশি। এছাড়া প্রায় ২.৫ কোটি মানুষ রয়েছেন প্রিডায়াবিটিস স্টেজে। অর্থাৎ তাঁদের এখনও ডায়াবিটিস না হলেও আগামীদিনে হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।টাইপ ২ ডায়াবিটিস খতরনাক অসুখ। এই রোগ থাকলে আপনি স্নান করতে পারেন গরম জলে।
দেখা গিয়েছে, এইচবিএ১সি অনেকটাই কমে উষ্ণ জলে স্নান করলে। এই তথ্য উঠে এসেছে ইএসডি-এর বার্ষিক সভায়। মাথায় রাখতে হবে যে এইচবিএ১সি কিন্তু ৩ মাসের সুগারের গড় দেয়। তাই এই টেস্ট নিয়মিত করা দরকার। অনেকেই সুগার নিয়ন্ত্রণে ইনসুলিন নিয়ে থাকেন। তবে মাথায় রাখতে হবে এই রোগীদের গরম জলে স্নান করার সময় সতর্ক থাকা উচিত। এই প্রসঙ্গে সিডিসি বলছে যে গরম জল রক্তনালীকে শান্ত করে দেয়। এই কারণে ইনসুলিন দ্রুত শরীরে গৃহীত হয়। এবার আপনি ইঞ্জেকশন নেওয়ার পর গরম জলে স্নান করলে ইনসুলিন খুব দ্রুত কাজ করে। তাই সুগার ফল করতে পারে। তখন আবার সমস্যা। এক্ষেত্রে হঠাৎ বুক ধড়ফড়, মাথা ঘোরা, মাথা হালকা লাগা, ঘাম হওয়ার মতো লক্ষণ দেখলেই সাবধান হয়ে যান।