খানাখন্দে ভর্তি রাজ্য সড়ক রতুয়ায় , ক্ষোভ স্থানীয়দের
সামনে আসলে মনে হতে পারে, রাস্তায় চলতে বোধহয় কোনও ভুল হয়েছে৷ ভুল করে হয়তো রাস্তা ছাড়িয়ে পুকুরপাড়ে চলে এসেছে যানবাহন৷ কোনও ভুল নয়, রতুয়া ১ ব্লকের মূল জায়গায় রাস্তার ছবিট সেটাই৷ সংস্কারের অভাবে রতুয়ার ব্লক মোড় এখন রাস্তার মধ্যে পুকুর৷ প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার ভয় বুকে নিয়েই এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে এলাকার মানুষজনকে৷ তাঁদের বক্তব্য, বেহাল রাস্তায় ছোটখাটো দুর্ঘটনা লেগেই রয়েছে৷ কিন্তু কারোর ভ্রুক্ষেপ নেই৷ প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তায় যে কোনও মুহূর্তে ঘটে যেতে পারে বড়সড় দুর্ঘটনা৷ এনিয়ে সরব হয়েছে সিপিএম৷ সমস্যা যে রয়েছে, তা মেনে নিচ্ছেন এলাকার তৃণমূল জেলা পরিষদ সদস্য৷ খুব দ্রুত ওই রাস্তা সংস্কার করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন বিডিও৷
রতুয়া ১ ব্লকের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এলাকা ব্লক মোড়৷ এখান থেকে মালদা, হরিশ্চন্দ্রপুর ও দেবীপুরগামী রাস্তা বেরিয়েছে৷ এই মোড় সংলগ্ন এলাকায় রয়েছে বাসস্ট্যান্ড, থানা, বিডিও অফিস প্রভৃতি৷ প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষ এই মোড় দিয়ে যাতায়াত করে৷ অসংখ্য যানবাহনও এই মোড় দিয়ে চলাচল করে৷ কিন্তু বেহাল রাস্তার জন্য এই মুহূর্তে প্রত্যেকেরই অসুবিধে হচ্ছে৷ বিশেষত যানবাহনের চালকরা সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়ছেন৷ তাঁরা জানাচ্ছেন, রতুয়া ১ ব্লকের অনেক জায়গাতেই রাস্তার হাল খুব খারাপ৷ বিশেষ করে ব্লক মোড়ের পরিস্থিতি ভয়াবহ৷ গর্তে গাড়ি নামালে সামনের দিকের অংশ রাস্তায় ধাক্কা খাচ্ছে৷ গর্ত থেকে ওঠার সময় পিছনের অংশে সেই অবস্থা৷ যদি কেউ বাঁকা করে গাড়ি গর্তে নামানোর চেষ্টা করে, তবে গাড়ি উলটে যাওয়া অনিবার্য৷ দুর্ঘটনার ঝুঁকি নিয়েই রাস্তা পেরোতে হচ্ছে৷ প্রশাসন যদি দ্রুত এই রাস্তা সংস্কার না করে, তবে যে কোনও মুহূর্তে বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটবে৷ তাতে জীবনহানি হওয়াও অসম্ভব নয়৷ সেক্ষেত্রে দায় প্রশাসনকেই নিতে হবে৷
স্থানীয় মানুষ ও নিত্যযাত্রী সুধীর সরকার ,অনিল চন্দ্র মিশ্র , অভিযোগ করে বলেন প্রতিদিন রতুয়া, বাহারাল দিয়ে পণ্য বোঝাই ও যাত্রীবাহী যানবাহন চলাচল করে খারাপ রাস্তার সম্মুখীন হয়ে । যেখানে সেখানে হয়েছে ছোট, বড় গর্ত প্রতিনিয়ত ঘটছে ছোট বড় দুর্ঘটনা । প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে । রতুয়া দিয়ে চাঁচোল ভালুকা, হরিশ্চন্দ্রপুর ও পার্শ্ববর্তী রাজ্য বিহারেও মানুষ যাতায়াত করে । অথচ প্রশাসন নিরব ভূমিকায় রাজ্য সড়ক মেরামতির নামে ।
এই রাস্তার উপর দিয়ে বিভিন্ন সরকারি আধিকারিক, আমলাদের গাড়ি যাতায়াত করছে তারপরেও মেরামতির কাজ হচ্ছে না । যে কোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটবে । আমাদের দাবি অবিলম্বে ব্লক প্রশাসন বা গ্রাম পঞ্চায়েত রাস্তার মেরামতি করুক।
পাশাপাশি অভিজিৎ পাল নামের একজন বাসচালক জানাই সরকারকে ট্যাক্স দিয়ে আমরা বাস চালাচ্ছি রাস্তায় অথচ সরকার রাস্তা মেরামতের করছে না। এত বড় গর্ত হয়েছে আমাদের যাত্রী নিয়ে বাস চালাতে সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে। যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে । প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা করছে না আমরা চাই অতি শীঘ্রই রাস্তা মেরামতি হোক।
অন্যদিকে বামপন্থী নেতা জহুর আলম জানান বামফ্রন্ট জামানায় পশ্চিমবঙ্গ মাছ চাষে এগিয়ে ছিল ,কিন্তু বর্তমান তৃণমূল সরকার রাস্তার মধ্যেই মনে হয় মাছ চাষ করার পরিকল্পনা করেছে । মালদা রতুয়া , বাহারাল,বালুপুর সহ বিভিন্ন রাস্তা খানাখন্দে ভর্তি হয়েছে । মাছ চাষ করার মত অবস্থা তৈরী হয়েছে রাস্তাতে। অবিলম্বে রাস্তা সংস্কার করা দরকার আছে সাধারণ মানুষ বেহাল রাস্তার জন্য প্রতিনিয়ত সমস্যার মুখে পড়ছে । বিগত দিনে আমরা কয়েকবার রতুয়া ব্লক সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক কে ডেপুটেশনের মাধ্যমে রাস্তা মেরামতের কথা জানিয়েছি কিন্তু কাজের কাজ এখনো কিছু হয়নি।
বেহাল রাস্তা : সংস্কারের দাবী ( মালদা )
বেহাল রাস্তা : সংস্কারের দাবী ( মালদা )
Gepostet von ACN Life News am Dienstag, 8. September 2020
জেলা পরিষদ সদস্য হুমায়ুন কবির জানাই রাস্তা খারাপের বিষয়টা জেলাশাসক ও ব্লক সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক কে জানিয়েছি। খুব তাড়াতাড়ি মেরামতির কাজ শুরু হবে। পরে স্থায়ী সমাধান করবে জেলা শাসক সাহেব বলে জানিয়েছে আমাদের।
এই প্রসঙ্গে রতুয়া ১ নম্বর ব্লক সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক সানোয়ার আলী জানান ইতিমধ্যে জেলা প্রশাসন কে জানিয়েছি লিখিতভাবে চিঠি করে পিডাব্লুডি কে জানানো হয়েছে । খুব তাড়াতাড়ি কাজ শুরু করে রাস্তা মেরামত করা হবে । আগামীতে স্থায়ীভাবে খারাপ রাস্তাগুলি ভালো করে সংস্কার করা হবে।