বেতনের দাবিতে এবার থালা-বাটি হাতে রাস্তায় নেমে প্রতীকী ভিক্ষা চাইতে দেখা গেল হুগলী নদী জলপথ পরিবহনের কর্মীদের। আজ দুপুর দেড়টা নাগাদ হাওড়া জেটি ঘাট সংলগ্ন জলপথ পরিবহন ভবনের সামনে এই প্রতীকী বিক্ষোভ দেখান কর্মীদের একাংশ। তাদের দাবি, দীর্ঘদিন বেতনহীন অবস্থায় কাজ করেছেন তারা।
জলপথে কর্মরত প্রায় ৭০০ কর্মীরই সংসার চালানো দায় হয়ে পড়েছে কার্যত। একাধিকবার রাজ্যে সরকারের কাছে আর্জির পর রাজ্য সরকারের তরফে দু’কোটি টাকা তাদের সাহায্য করা হয়। কিন্তু তাদের অভিযোগ, এরপর তারা এক মাসের বেতন পেলেও পুজোর বোনাস সহ আরও দুই মাসের বেতন পাননি। তাই তাদের দাবি, অবিলম্বে তাদের প্রাপ্য সেই টাকা মিটিয়ে দিতে হবে। এমতাবস্থায় বেতনহীন থাকার কারণে তাদের সংসার কার্যত বিপদের সম্মুখে।
https://www.facebook.com/230205334351193/videos/404965937339927
পাশাপাশি তারা আরও জানিয়েছেন, রাজ্য সমবায় মন্ত্রী অরূপ রায় এর কাছে তারা দরবার করেছেন এর আগে। বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিলেও এখনো পর্যন্ত কোন ফল তারা পাননি। এর পাশাপাশি জলপদ পরিবহনের অ্যাডমিনিস্ট্রেটর আমানুল ইলাল তাদের সঙ্গে দেখা করছেন না। তাই সব মিলিয়ে তাদের বেতন প্রক্রিয়া এখন কার্যত বিশবাঁও জলে। এ প্রসঙ্গে রাজ্যের সময়বায় মন্ত্রী অরূপ রায় জানান, রাজ্য সরকার আর্থিক সাহায্য ইতিমধ্যেই করেছে।
জলপথ পরিবহনের অ্যাডমিনিস্ট্রেটর কে দায়িত্ব দেওয়া আছে। তিনি সমস্ত কিছু দেখে বেতন শীঘ্রই মিটিয়ে দেবেন। ইতিমধ্যেই বেশ কিছুটা বেতন দেওয়া হয়ে গিয়েছে। বকেয়া বেতন ও খুব শীঘ্রই পেয়ে যাবেন জলপথ পরিবহনের কর্মীরা। তবে সরকার বোনাস দিতে পারবে না।
এদিকে ক্যামেরার সামনে এই নিয়ে কর্তৃপক্ষ মুখ খুলতে চায় নি। তবে সূত্রের খবর, লকডাউন এর কারণে দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল ফেরি চলাচল। এর পরেও এখনো পর্যন্ত লোকাল ট্রেন বন্ধ থাকার কারণে উপযুক্ত পরিমাণ যাত্রী হচ্ছে না। এর জেরে প্রত্যহ বেশ কয়েক লক্ষ টাকা করে ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে হুগলি নদী জলপথ পরিবহনকে। তাই বেতন জটিলতা। তবে ইতিমধ্যেই রেল রাজ্য যৌথ বৈঠকে আগামী বুধবার থেকে ফের লোকাল ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তাই ফের আশায় বুক বাঁধছেন কর্মীরা।