এসিএন লাইফ নিউজ, ২৮ সেপ্টেম্বর : ‘ভবানীপুর উপনির্বাচনে কোনও বাধা নেই’, জানিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্ট । নির্দিষ্ট সূচি মেনেই ভোট হবে বলে জানালেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দাল । অর্থাৎ, আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী ভবানীপুর বিধানসভা আসনে উপনির্বাচন হবে ।
রাজ্যের মুখ্যসচিবের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে আদালত । মঙ্গলবার ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দল ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ এই মন্তব্য করে । আদালতের বক্তব্য, ‘সরকারি কর্মচারী থেকে ক্ষমতায় থাকা রাজনৈতিক দলের দলদাস হিসাবে নিজেকে দেখাতে চেয়েছেন মুখ্যসচিব । ভবানীপুরে উপনির্বাচন না হলে সাংবিধানিক সঙ্কট হবে, বলেছেন মুখ্যসচিব । একজন প্রার্থী ভোটে জিতলে বা হারলে কী ধরনের সাংবিধানিক সঙ্কট হয়? সেটা মুখ্যসচিব স্পষ্ট করে বলেননি । মুখ্যসচিব কী করে জানলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভবানীপুর থেকে লড়বেন?’ তিনি তো কোনও দলের মুখপাত্র বা রিটার্নিং অফিসার নন, যিনি না জিতলে সাংবিধানিক সঙ্কট হবে, তাঁর জেতা নিশ্চিত করা মুখ্যসচিবের কাজ নয় ।’
নির্বাচনী বিজ্ঞপ্তির কিছু অংশে আপত্তি জানিয়ে দায়ের হয়েছিল জনস্বার্থ মামলা । এই মামলাতেই এদিন রায় ঘোষণা করা হয়েছে । ভবানীপুরে উপনির্বাচন না হলে তৈরি হতে পারে সাংবিধানিক সঙ্কট । এই মর্মে সুপারিশ করে নির্বাচন কমিশনকে চিঠি লিখেছিলেন মুখ্যসচিব । ভোটের বিজ্ঞপ্তিতে সেই কথা উল্লেখ করে কমিশন । কমিশনে চিঠি দেওয়া নিয়ে মুখ্যসচিবের এক্তিয়ার নিয়ে প্রশ্ন তুলে কয়েক দিন আগে কলকাতা হাইকোর্টে হয় মামলা ।
মামলাকারীর আইনজীবী সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আদালত পর্যবেক্ষণে জানিয়েছে, রাজ্যের মুখ্যসচিব এক জন সরকারি আধিকারিক । তাই তিনি কোনও এক জনের স্বার্থ রক্ষা করতে পারেন না । নির্বাচনের আবেদন জানিয়ে যে চিঠি দিয়েছিলেন, তাতে তিনি নিজের অধিকারের সীমা লঙ্ঘন করেছেন । তিনি ভুল করেছেন । এক জনের স্বার্থ রক্ষার জন্য এত খরচ কে বহন করবে? ১৭ নভেম্বর কমিশনের জরিমানা সংক্রান্ত মামলার শুনানি হবে ।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘আদালত জানিয়েছে তারা নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করবে না । কিন্তু যে দল হারবে, তারা চাইলে ফের হলফনামা দায়ের করতে পারবে ।’’