স্থায়ীকরণ, শিক্ষাগত যোগ্যতা, কাজের অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে বেতন কাঠামো পূনর্বিন্যাস, কোভিড পরিস্থিতিতে মৃত কর্মীদের পরিবারের একজনকে চাকরী সহ পাঁচ দফা দাবীতে আন্দোলনে নামলো স্বাস্থ্য দপ্তরে চুক্তি ভিত্তিক এন.এইচ.এম ও এন.ইউ.এইচ.এম কর্মীরা ।
মঙ্গলবার ওয়েস্ট বেঙ্গল ন্যাশালনাল হেলথ্ মিশন জয়েন্ট অ্যাসোসিয়েশানের ব্যানারে ঐ সংগঠনের সদস্যরা বিষ্ণুপুর জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের দপ্তরের সামনে ধর্ণা ও বিক্ষোভ কর্মসূচী পালন করেন। একই সঙ্গে সংগঠনের এক প্রতিনিধি দল জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের দপ্তরে গিয়ে রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের মুখ্য আধিকারিকের উদ্দেশ্যে নিজেদের দাবি দাওয়া সম্বলিত স্মারকলিপি জমা দেন।
আন্দোলনরত ওয়েস্ট বেঙ্গল ন্যাশালনাল হেলথ্ মিশন জয়েন্ট অ্যাসোসিয়েশানের তরফে বলা হয়েছে রাজ্যের সমস্ত চুক্তিভিত্তিক কর্মচারীদের ৬০ কিম্বা ৬৫ বছরের চাকুরীর সুরক্ষার সরকারী নির্দেশিকা জারি হয়েছে। কিন্তু স্বাস্থ্য বিভাগে কর্মরতদের ক্ষেত্রে তা লাগু হয়নি।
অথচ চুক্তি ভিত্তিক এন.এইচ.এম ও এন.ইউ.এইচ.এম কর্মীরা গ্রামীণ, মহকুমা, জেলা হাসপাতাল থেকে মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের দপ্তর, এমনকি প্রত্যন্ত গ্রামের সাব সেন্টার গুলিতে দক্ষতার সঙ্গে কাজ করে চলেছে। আর যে পরিষেবা চলতি কোভিড পরিস্থিতিতেও অব্যাহত আছে। তবুও তারা বঞ্চিতদের দলেই আছেন বলে অভিযোগ।
https://www.facebook.com/230205334351193/videos/3469794236408224
এদিনের ধর্ণা ও বিক্ষোভ কর্মসূচীতে অংশ নিয়ে আন্দোলনরত স্বাস্থ্যকর্মীরা বলেন, সারা রাজ্যে ২৫ হাজার ও বাঁকুড়া জেলায় ১ হাজার ৫০ জন চুক্তি ভিত্তিক অস্থায়ী কর্মী রয়েছি। চলতি কোভিড আবহেও জীবনকে বাজি রেখে সাধারণ মানুষকে স্বাস্থ্য পরিষেবা দিয়ে যাচ্ছি।
অথচ বেতন কাঠামোর কোন পরিবর্তন হয়নি। তাদের প্রতি এই অবিচারের পিছনে স্বাস্থ্য দপ্তরের এক শ্রেণীর আমলারাই দায়ি বলে তারা দাবি করেন। এরপরেও দাবি পূরণ না হলে বৃহত্তর আন্দোলনে নামবেন বলেই তারা এদিন স্পষ্ট করেই জানিয়ে দেন।