বর্ধমান, ১৭ জুলাই : বর্ধমানের অধিষ্ঠাত্রী দেবী মা সর্বমঙ্গলা । ১৭০২ সালে মহারাজা কীর্তিচাঁদ দ্বারা নির্মিত হয় বর্ধমানের সর্বমঙ্গলা মন্দির । অন্যান্য পুজোর ন্যায় মন্দিরে বিপত্তারিণী পুজোও প্রতি বছর হয়ে থাকে । এই উপলক্ষে প্রতি বছরই কয়েক হাজার ভক্ত সমাগম হয় । করোনার সংক্রমণ রুখতে গত বছরের মতো এবারও মন্দিরে ভক্তদের প্রবেশ বন্ধ রাখা হয়েছিল ।
করোনার বিধিনিষেধ মেনে বন্ধ মন্দিরেই দেবীর আরাধনা চলে । ভক্তদের প্রবেশ নিষিদ্ধ ছিল । কিন্তু তাতেও ভিড় এড়ানো যায়নি । হাজার হাজার মহিলা পুজো দিতে আসেন । ভক্তরা বলেন, “মায়ের পুজো দিয়ে মনে শান্তি পেলাম । সংসারের মঙ্গল কামনা করতেই এই পুজো করি আমরা ।”
অন্যদিকে, মন্দিরের পুরিহতরা বলেন, “মহিলারা স্বামীর মঙ্গল কামনায় এই পুজো করে থাকেন । আষাঢ় মাসের শুক্লপক্ষের তৃতীয়া থেকে নবমী তিথির মধ্যে এই পুজো হয়ে থাকে ।”
বিপত্তারিণী পুজো পরিবার-পরিজন ও সংসারের মঙ্গল কামনায় মূলত স্ত্রী লোকেরা এই ব্রত পালন করেন । মহামায়া মা দুর্গা বিপত্তারিণী রূপে সমস্ত বিপদ বাঁধা বিঘ্ন দূর করে সংসারের মঙ্গল করেন । এই ব্রত পালনের ১৩ রকম ফুল, ১৩ রকম ফল, ১৩টি পান, ১৩টি সুপারি সহ, ১৩ গাছা লাল সুতোয় ১৩ গাছা দুর্বা ১৩টি গিট দিয়ে বেঁধে “ডুরি” বানিয়ে মাকে নিবেদন করা হয় ।
অন্যদিকে, করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের কারণে দেশজুড়ে চলছে আংশিক লকডাউন । ব্যবসাতেও ভাটা পড়েছে লকডাউনের কারণে । তাই যদি কিছুটা বিক্রি হয় সেই আসাতেই অস্থায়ী ভাবে পুজো হলেও আশা ছাড়েননি পুজোর সামগ্রী বিক্রেতারা । পুজোর ডালা নিয়ে পসার সাজিয়ে অন্যান্য বছেরের ন্যায় এই বছরেও বসেছিলেন তাঁরা ।