টিটাগড়ের বিজেপি নেতা মণীশ শুক্লার খুনের ঘটনায় পশ্চিমবঙ্গের আইনশৃঙ্খলা কিছু আছে কিনা, সেই নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে ভারতীয় জনতা পার্টি।
আজকে বিকেলে হাওড়া যুবমোর্চার সদস্যেরা হাওড়া বঙ্গবাসী মোড়ের রাস্তা অবরোধ করে ব্যারাকপুরের বিজেপি পুর প্রতিনিধির খুনের ঘটনার প্রতিবাদ জানায় ও মুখ্যমন্ত্রী র কুশপুতুল জ্বালানোর চেষ্টা করে। তাদেরকে ছত্রভঙ্গ করে হাওড়া থানার পুলিশ।
বিজেপির হাওড়া সদরের যুবমোর্চার সভাপতি ওম প্রকাশ সিং অভিযোগ করেন তারা বাধ্য হয়েছেন আজকে রাস্তায় নামতে। মুখ্যমন্ত্রী র কুশপুতুল জ্বালাতে। তিনি আরও অভিযোগ করেন যেভাবে প্রকাশ্য দিবালোকে থানার পাশে তাদের দলের নেতা মনীশ শুক্লা কে গুলি করে মারা হয়েছে। এবং অত্যাধুনিক বন্দুক ব্যবহার করা হয়েছে কোথা থেকে এলো বলেও প্রশ্ন করেন তিনি। ওই বন্দুক দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি নয় বলেই দাবি করেন তিনি।
বিজেপির প্রতিবাদ ( হাওড়া )
Gepostet von ACN Life News am Montag, 5. Oktober 2020
তাই আজকে যুব মোর্চা ও মহিলা মোর্চার সদস্যেরা প্রতিবাদ জানাতে রাস্তায় নেমেছে। তিনি হাওড়া থানার পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন দুদিন আগে যখন এই জায়গাতেই প্রধানমন্ত্রীর কুশ পুতুল জ্বালানো হয়েছিল তখন তারা বাধা দেয় নি কিন্তু আজকে তাদেরকে বাধা দেওয়া হচ্ছে মুখ্যমন্ত্রী র কুশপুতুল জ্বালাতে। তিনি দাবি করেন তারা মুখ্যমন্ত্রী র কুশপুতুল জ্বালাবেন যতই বাধা আসুক না কেনো। তিনি হাওড়া থানার পুলিশের পক্ষপাতমূলক আচরণের সমালোচনা করে বলেন হাওড়া থানার পুলিশ দালালি করছে, শাসক দলের দলদাসে পরিণত হয়ে গেছে। তাই এই হাওড়া থানার ওসি যখন প্রধানমন্ত্রী র কুশপুতুল দাহ হতে দেখলে চুপ থাকেন। টিকিয়াপাড়াতে মার খেলেও চুপ থাকেন আর যুবমোর্চার সদস্যেরা মুখ্যমন্ত্রী র কুশপুতুল পোড়ালে তখন বাধা দেওয়া হয়। তিনি পুলিশের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে বলেন আগামী ৮ ই অক্টোবর তারা নবান্ন অভিযান করবেন ও দলদাস পুলিশকে দেখিয়ে দেবেন বলেও দাবি করেন। তিনি আরও অভিযোগ করেন এই রাজ্যে একজন পুর প্রতিনিধি ও সুরক্ষিত নয়। মনীশ শুক্লা কে ১২ টি গুলি করে খুন করা হয়েছে। থানার সামনে ব্রাশ ফায়ারিং হয়েছে। তিনি অভিযোগ করেন এই রাজ্যে তালিবান শাসন করতে চাইছেন কিন্তু তারা সেটা হতে দেবেন না। সরকারকে এভাবে এগোতে দেবেন না বলেই দাবি করেন তিনি।
পাশাপাশি মহিলা মোর্চার থেকেও অভিযোগ করা হয় আজকের এই প্রতিবাদ কর্মসূচি তে হাওড়া থানার থেকে কোনো মহিলা পুলিশ উপস্থিত ছিল না। রাস্তা অবরোধ কারী মহিলা কর্মীদের একাধিক পুলিশ কর্মীরাই রাস্তা থেকে তুলে দেয়। এই ঘটনার নিন্দা করা হয় বিজেপির মহিলা মোর্চার তরফ থেকেও। মহিলা কর্মীদের পুরুষ পুলিশ দিয়ে সরানোর কাজ কে আইনবিরুদ্ধ বলেই দাবি করা হয় হাওড়া মহিলা মোর্চার তরফ থেকে।