মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারকে যদি সত্যি সত্যি উৎখাত করতে চান তাহলে আমাদের সঙ্গে ১৩ সেপ্টেম্বর নবান্ন চলুন”।আগামী ১৩ই সেপ্টেম্বর যা হতে চলেছে ৭৫ বছরে এ দৃশ্য কেউ দেখেনি বাংলায়। সিজিও গিয়ে লাভ নেই। নবান্ন অভিযানকে সামনে রেখে হুগলির পাণ্ডুয়ায় প্রকাশ্য সমাবেশ থেকে রবিবার বামেদের আহ্বান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর।বিজেপি নবান্ন অভিযানে যে ধরনের কর্মসূচি হাতে নিয়েছে তা এর আগে বাংলায় কোনও বিরোধী দল নেয়নি বলে দাবি শুভেন্দু অধিকারীর।যদিও শুভেন্দু অধিকারীর এই আহ্বান খারিজ করে দিয়েছেন বাম নেতারা।
সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীর প্রশ্ন,’ আন্দোলন কীভাবে করতে হবে, আর কোন পথে করতে হবে তা কি বিজেপি নেতারা ঠিক করে দেবেন? ‘আন্দোলনের রাস্তা তো বামপন্থীরাই দেখিয়েছে। সেই পথই এখন অনুকরণ করছে বিরোধীরা’। এমনটি বলছে বামপন্থী শিবির।প্রসঙ্গত, শুক্রবার, রাজ্য বামফ্রন্টের ডাকে বিভিন্ন জেলা থেকে মিছিল এসে জমায়েত করে বিধাননগরে। এরপর বিধাননগর থেকে দুপুর আড়াইটের সময় ‘চোর ধরো জেল ভরো’ স্লোগান তুলে সিজিও কমপ্লেক্সের উদ্দেশ্যে মিছিল শুরু হয়। মিছিলে উপস্থিত ছিলেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু, সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম, সুজন চক্রবর্তী, পলাশ দাস, শমীক লাহিড়ী সহ অন্যান্য বাম নেতৃত্ব।
চোর ধরো, জেল ভরো’ স্লোগানকে সামনে রেখে শুক্রবার সিজিও কম্পপ্লেক্স অভিযানের ডাক দিয়েছিল বামেরা। বামেদের দাবি ছিল, ১) রঙ না দেখে ইডি-সিবিআই এর দুর্নীতির তদন্ত। ২) যাঁরা গ্রেফতার হয়েছেন দ্রুত তাঁদের শাস্তি। ও ৩) নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে যাঁরা জড়িত তাঁদের অবিলম্বে গ্রেফতারি। যদিও বামেদের সিজিও অভিযান নিয়ে শুভেন্দু অধিকারীর বার্তা,’সিজিও অভিযান করে কোনও লাভ নেই। দুর্নীতিগ্রস্ত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে