স্বামীসহ শ্বশুর বাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে বধূ নির্যাতনের অভিযোগ। ঘটনাটি ঘটেছে রতুয়া-১ ব্লকের সামসি গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত সোহড়াতলা গ্রামে। অভিযোগ পেয়ে ঘটনার তদন্তে নেমেছে রতুয়া থানার পুলিশ।
জানা গিয়েছে নির্যাতিতা গৃহবধূর নাম নাসিমা খাতুন। বাবার বাড়ি রতুয়া-২ ব্লকের সম্বলপুর গ্রামে। প্রায় সাত মাস আগে রতুয়া-১ ব্লকের সামসি গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত সোহরাতোলা গ্রামের যুবক সাহেব আলীর সাথে পরিচয় হয় নাসিমার।একে অপরকে ভালোবেসে বাড়ির অমতে বিয়ে করে দু,জন।
এরপর মাসখানেক সাহেব নাসিমাকে সামসী এলাকায় এক ভাড়া বাড়িতে প্রায় মাসখানেক থাকে। তারপর নাসিমাকে বুঝিয়ে সুঝিয়ে তার বাবার বাড়িতে রেখে দিয়ে সাহেব নিজের বাড়িতে থাকতে শুরু করে। নাসিমা সাথে বিয়ের ব্যাপারে সাহেব নিজের বাড়িতে কাউকে কিছুই বলেনি।
এর মাঝে সাহেবের পরিবারের লোকজন সাহেবের বিয়ের অন্য বিভিন্ন জায়গায় সম্বন্ধ খোঁজাখুঁজি শুরু করে। বিষয়টি নাসিমা জানতে পেরে সাহেবের বাড়িতে এসে হাজির হয়। তবে সাহেবের বাড়ির লোকজনেরা নাসিমাকে ঘরে উঠতে দেইনি। এরপর নাসিমা সাহেবের বাড়ির সামনে ধরনায় বসে।এরপর পুলিশ প্রশাসন ও স্থানীয়দের হস্তক্ষেপে নাসিমাকে ঘরে তুলতে বাধ্য হয় তার শ্বশুর বাড়ির লোকজনেরা।
এই প্রসঙ্গে নাসিমার মা শাকিলা বিবি জানান আমার মেয়ে নাসিমা খাতুনের বিয়ে হয়েছিল সামসীর সোহড়াতোলার যুবক মোঃ সাহেবের সাথে। প্রেম করে বিয়ে করার ফলে তার শ্বশুরবাড়ির লোকেরা এই বিয়ে মানতে নারাজ। আমার মেয়ের উপরে তারা শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালাত। তাকে শ্বশুরবাড়ি লোকজনেরা প্রাণে মেরে ফেলার চক্রান্ত করে ছাদ থেকে ফেলে দেয়। তবে ঘটনাক্রমে কোন রকমে বেঁচে গেলে পা এবং কোমরে আঘাত লাগে।
এই ঘটনার পর তার শ্বশুরবাড়ির লোকজনের আমার মেয়েকে হাসপাতালে ফেলে দিয়ে পালিয়ে যায়। তারপর থেকে তারা কোনো খোঁজ খবর নেই নি। এখন নিজের বাড়িতেই মেয়ের চিকিৎসা করাচ্ছি। আজ রতুয়া থানায় অ্যাম্বুলেন্সে করে মেয়েকে নিয়ে এসেছি। জামাই মোঃ সাহেব সহ মোট ছয়জনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছি। তাদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।