শেষ দিনের বইমেলায় সরকারি চাকরিজীবী সহ ব্যবসায়ী ও পড়ুয়াদের পদচারণাও ছিল চোখে পড়ার মতো।শনিবার সন্ধ্যা কালীন মুহূর্তে পাঠক-দর্শনার্থীদের ছিল উপচে পড়া ভিড়।প্রজাতন্ত্র দিবসে রাজ্য সরকারের উদ্যোগে আয়োজিত চাঁচল মহকুমা বইমেলায় উদ্ধোধন করেছিলেন রাজ্য গ্রন্থগার দফতরের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী।
তিনি চাঁচলে মডেল লাইব্রেরীর ঘোষনার সাথে কয়েকটি লাইব্রেরীতে লাইব্রেরিয়ান নিয়োগের আশ্বাসও দিয়েছিলেন।ঘোষনায় স্বাভাবিকভাবেই খুশি রয়েছেন বইপ্রেমিকরা।
তবে শেষ দিনে শনিবার ছিল জমজমাট।এদিন বিকেল থেকেই ক্রেতা-পাঠকদের আগমনে মেলা প্রাঙ্গণ সিদ্ধেশ্বরী ইন্সটিটিউশন মুখরিত হয়ে ওঠে।কেউ কিনছেন বই,কেউ বা দেখছেন ঘুরে ঘুরে। নতুন বইয়ের সমারহে মেলার ২৩ টি বুক স্টল ছিল ভরপুর।আর একদিকে কিশোর-কিশোরীরা হরেকরকম আলোকচিত্রের মাঝে সেলফি খিচতে ব্যস্ততা দেখা গেছে।পাশাপাশি উত্তর মালদা প্রেস ক্লাবের সাংবাদিকদের স্টলে বিভিন্ন রকম প্রান্তিক ও সমস্যার প্রতিবেদনের পেপার কাট প্রদর্শনে ভিড় জমান পাঠকরা।
নতুন বইয়ের নানা রংয়ের অঙ্গসজ্জার আকর্ষণীয় প্রচ্ছদের সম্মিলন মেলায় দৃষ্টিনন্দন পরিবেশ সৃষ্টি করেছে।সব বয়সের মানুষ স্টলের সামনে দাঁড়িয়েই হাতে বই তুলে নিচ্ছেন।
পাঁচ দিনের বইমেলায় চারদিন ভীড় না দেখা গেলেও শনিবার শেষ মুহুর্তে ভিড়ে খুশি মহকুমা প্রশাসনও।আরেকদিকে রাজা শরৎচন্দ্র রায় চৌধুরী মঞ্চে ক্ষুদেদের নৃত্য পরিবেশনে মেতে উঠে দর্শকরা।মঞ্চে আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া মোমিন আলীর মিষ্টিভাসি বাঁশির গানের সূর মুগ্ধতা প্রকাশ পেয়েছে দর্শকদের মাঝে। পাশাপাশি চাঁচল টিচার্স ট্রেনিং কলেজের শিক্ষিকা পূজা মিশ্রের রবীন্দ্র সঙ্গীত সূরের তালে তালে গুন গুন করতে দেখা গেছে দর্শকদের।
এদিন সমাপ্তি মুহুর্তে এলাকার বিশিষ্ট সাহিত্যিক-কবি, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকে নজর কাড়া সাফল্যে কৃতীদের সংবর্ধনা জ্ঞাপণ করা হয় বইমেলা কমিটির তরফে।পাশাপাশি চারদিন ধরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের প্রতিযোগীর সেরাদের পুরস্কৃত করা হয়।
সব মিলিয়ে এবছর চাঁচলে প্রথম সরকারি বইমেলার উপভোগে খুশি বইপ্রেমীরা।তবে প্রতিবছর সরকারি বইমেলা হোক চাঁচল মহকুমায় সেই দাবি তুলেছেন বইপ্রেমিকরা।এদিন মেলায় আসা এক বইপ্রেমী তথা শিক্ষক ওসমান গনি বলেন, ১৮ বছর ধরে স্থায়ী কমিটির উদ্যোগেই চাঁচলে বইমেলা হয়ে আসছিল।বিভিন্ন কারনে চাঁচলে কয়েকবার বইমেলা অনুষ্ঠিত হয়নি।তবে সরকার এবছর নিজেই উদ্যোগ নিয়েছেন।এই উদ্যোগটা প্রতিবছর অটুট থাকুক সেই দাবি জানাচ্ছি।বইমেলা কমিটির যুগ্ম সম্পাদক এটিএম রফিকুল হোসেন জেলা প্রশাসন ও গ্রন্থগার দপ্তরে বিষয়টি জানাবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন।