বাঁকুড়া পর্যটন মানচিত্র বিষ্ণুপুর জয়রামবাটি শুশুনিয়ার পরে পরেই স্থান পেয়েছে অরণ্য ঘেরা জয়পুর। ফিবছর বাঁকুড়ায় পর্যটকেরা বিভিন্ন পর্যটন স্থান ঘুরতে এসে ভিড় জমান জয়পুরের বনানীর মাঝে দু’একদিন কাটানোর জন্য। এখানে যেমন ভাবে রয়েছে ঘন বনাঞ্চল তেমনি হবে বন্য প্রাণীর দেখা মেলে কখনো কখনো। আর উপরি পাওনা হিসেবে মিলতে পারে বৃহদাকার বন্যহাতির দেখাও। সে কারনে বনদপ্তর এর পক্ষ থেকে করা হয়েছে ওয়াচ টাওয়ার। এর পাশাপাশি জয়পুর কে ঘিরে গড়ে উঠেছে বিভিন্ন ধরনের পার্ক ও জলাশয়।
তেমনই একটি পার্ক ছিল সুরধ্বনি উদ্যান। সেই উদ্যান বেশ কয়েকদিন ধরেই অব্যবহারের ফলে একপ্রকার বন্ধ হতে বসেছিল। স্থানীয় পঞ্চায়েত সমিতির উদ্যোগে বিধায়ক তহবিল টাকা ব্যয়ে এই উদ্যানের কিছু অংশে একটি রিসোর্ট করার উদ্যোগ নেয় ব্লক প্রশাসন । এবং তার নামকরণ করা হয় বনফুল । প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ভরা এই বনফুল রিসোর্টের ভেতরে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের ফুলের গাছ রয়েছে সুইমিংপুল এছাড়াও রাত্রিযাপনের জন্য রয়েছে কাঠের , বাসের ও সিমেন্টের তৈরি ছোট ছোট ট্রি হাউস এছাড়াও রয়েছে তাঁবু খাটানো ট্রেন্ড ব্যবস্থা । এই মনমুগ্ধকর পরিবেশে যে সমস্ত ভ্রমণপিপাসু মানুষেরা মাতৃভূমি জয়রামবাটি ও মন্দির নগরী বিষ্ণুপুরে ভ্রমণ করতে আসেন তাদের হাতছানি দিতে থাকে মাঝে থাকা জয়পুরের এই বনফুল রিসোর্ট । এখানে পর্যটনেরা একটি বারের জন্য বনফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করেন না এমন মানুষ হয়তো খুঁজে পাওয়া যাবে না ।
বনফুল রিসোর্টে মন্ত্রী শ্যামল সাঁতরা ( বাঁকুড়া )
বনফুল রিসোর্টে মন্ত্রী শ্যামল সাঁতরা ( বাঁকুড়া )
Gepostet von ACN Life News am Freitag, 23. Oktober 2020
সেই বনফুল রিসোর্টের জয়পুর পঞ্চায়েত সমিতি ও বিধায়ক ফান্ডের থেকে দশ লক্ষ টাকার বিনিময়ে তৈরি করা হয় একটি বাঁশের তৈরি কটেজ ও একটি সিমেন্টের তৈরি কটেজ এদিন এই দুটি বিশেষ কটেজের উদ্বোধন করলেন রাজ্যের পঞ্চায়েত গ্রামোন্নয়ন রাষ্ট্রমন্ত্রী শ্যামল সাঁতরা । এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জয়পুর ব্লক উন্নয়ন আধিকারিক ও পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সহ আরো অনেকে।
সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মন্ত্রী বলেন জয়পুর পর্যটন মানচিত্রে জায়গা করে নিলেও, পর্যটকদের জন্য রাত্তিবাসের উপযুক্ত জায়গার অভাব ছিল। অগত্যা তাদের বিষ্ণুপুরে, কিংবা ফিরে যেতে হতো জয়রামবাটিতে। সে কারণেই জয়পুরের পর্যটকদের রাত্রিনিবাসের জন্যই এই বিশেষ কটেজ গুরুত্ব অপরিসীম। জয়পুরের ঘোরাঘুরি করার পর পর্যটকদের কাছে সুযোগ মিলবে বনফুল রেস্টুরেন্টের দুটি অত্যাধুনিক কটেজে রাত্রিযাপনের। সেই সঙ্গে মিলবে ইট কাঠ পাথরের ভিড়ের থেকে অনেক দূরে বনের নিঃস্তব্ধতার মধ্যে রাত কাটানোর এক অপার শান্তির।পরদিন সকালে উঠেউ পর্যটকদের বেরিয়ে পড়তে পারবেন মন্দিরনগরী বিষ্ণুপুরের টেরাকোটা সহ বিভিন্ন মন্দির বা জয়রামবাটি মাতৃমন্দির কিংবা রামকৃষ্ণের জন্মস্থান হুগলি জেলার কামারপুকুর এর উদ্দেশ্যে। বাঁকুড়ার পর্যটন মানচিত্রের এক নতুন সংযোজন বনফুল রেস্টুরেন্টের এই দুটি কটেজ সহ সমুদ্রবাঁধ রাতের বেলায় নৈসর্গিক সৌন্দর্য লুটেপুটে নিতে পারবেন বাতিস্তম্ভ হয়ে যাওয়ার ফলে।