বাঁকুড়া তৃনমূল কংগ্রেস নেতৃত্বে বড়সড় রদবদল ঘটল।
আজ বাঁকুড়ার তৃনমূল ভবনে নতুন জেলা কমিটির সদস্যদের নাম ঘোষনা করলেন তৃনমূলের বাঁকুড়া জেলা সভাপতি শ্যামল সাঁতরা। মাস খানেক আগেই তৃনমূলের বাঁকুড়া জেলা সভাপতি পদ থেকে শুভাশিস বটব্যালকে সরিয়ে ওই পদের দায়িত্ব দেওয়া হয় রাজ্যের পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরের রাষ্ট্রমন্ত্রী শ্যামল সাঁতরাকে।
তবে শুধু জেলা সভাপতি পদেই বদল নয় জেলা কমিটি ও ব্লক সভাপতির ক্ষেত্রেও এবার বড়সড় সাংগঠনিক রদবদল ঘটাল তৃনমূল। জানা গেছে এতদিন জেলায় ১৩৬ জন সদস্যকে নিয়ে গঠিত ছিল তৃনমূলের জেলা কমিটি। সেই জেলা কমিটির সদস্য সংখ্যা কমিয়ে এবার জেলা কমিটি তৈরী করা হয়েছে ১৩০ জন সদস্যকে নিয়ে।
প্রাক্তন জেলা সভাপতি শুভাশিস বটব্যালকে দলের চেয়ারম্যান করা হয়েছে। জেলা সভাপতিকে সাংগঠনিক ভাবে সাহায্য করার জন্য তিনটি মহকুমা এলাকায় তিন জনকে কো অর্ডিনেটার পদে নিযুক্ত করা হয়েছে। জেলা কমিটিতে ২১ জন নতুন মুখকে তুলে আনা হয়েছে। সহ সভাপতি পদে ১৮ জনের নাম ঘোষনা করা হয়েছে। এছাড়াও সাধারন সম্পাদক পদে ২০ জন ও সম্পাদক পদে রাখা হয়েছে মোট ১২ জনকে। দলের সমস্ত বিধায়ককে জেলা কমিটির আমন্ত্রিত সদস্য হিসাবে রাখা হয়েছে।
বড়সড় রদবদল ( বাঁকুড়া )
Gepostet von ACN Life News am Donnerstag, 10. September 2020
তৃনমূলের দাপুটে নেতা অরুপ চক্রবর্তী কে সিনিয়ার সাধারন সম্পাদক পদে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। শুধু জেলা কমিটিতেই নয় ব্যাপক রদবদল ঘটানো হয়েছে ব্লক স্তরেও। জেলার ২২ টি ব্লকের মধ্যে ১৫ টি ব্লকের ব্লক সভাপতি পদে রদবদল ঘটানো হয়েছে। দলের সবকটি শাখা সংগঠনেও ব্যাপক রদবদল ঘটানো হয়েছে।
তৃনমূলের দাবি ২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে সর্বশক্তি দিয়ে লড়াই এর ময়দান তৈরীর প্রস্তুতি হিসাবেই এই রদবদল ঘটানো হয়েছে।২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনে বাঁকুড়া জেলায় ভরাডুবি হয়েছিল তৃনমূলের। হাতছাড়া হয়েছিল জেলার বাঁকুড়া ও বিষ্ণুপুর দুটি লোকসভা কেন্দ্রই।
রাজনৈতিক মহলের ধারনা শাসক দলের নেতৃত্বের একাংশের ভাবমূর্তি বিভিন্ন কারনে এলাকার মানুষের কাছে বিরক্তির কারন হয়ে উঠেছিল। যার প্রভাব পড়েছিল লোকসভা নির্বাচনের ফলাফলে। সেই একই নেতৃত্ব পদে থাকলে বিধানসভা নির্বাচনেও দলের ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে। এই আশঙ্কাতেই তৃনমূল জেলা ও ব্লক স্তরের নেতৃত্বে এই ব্যাপক রদবদল ঘটাল বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল।