চাকরি প্রতারণা চক্রের এক পান্ডা কে গ্রেফতার করল মালদা সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। ধৃতকে বৃহস্পতিবার মালদা জেলা আদালতে পেশ করা হয়। তবে এর পিছনে আরো বেশ কিছু জন জড়িত আছে বলে সন্দেহ পুলিশের ।যদিও আজ জেলা আদালতে দ্বিতীয়বার অভিযুক্তকে তোলা হলে পুলিশি হেফাজতের আবেদন জানানো হয়নি।
মালদা সাইবার ক্রাইম থানা সূত্রে জানা যায় অভিযুক্ত প্রতারণা চক্রের মূল পান্ডার নাম রাকেশ বেরা বারি ইংলিশবাজার শহরের বিধান পল্লী এলাকায়। যদিও তার আসল বাড়ি শিলিগুড়ির বাগডোগরা থানার জয়তী নগরে।
জানা যায় ইংরেজবাজার শহরের মীরচক এলাকার বাসিন্দা পায়েল কুন্ডু নামে এক মহিলার কাছে স্বাস্থ্য দপ্তরের গ্রুপ ডি পদে চাকরি দেওয়ার নাম করে 12 লক্ষ টাকা অভিযুক্ত প্রতারক চাই। যদিও 12 লক্ষ টাকার বদলে 11 লক্ষ টাকা তে এই চাকরীর ড্রিল ফাইনাল হয়। কথামতো পায়েল কুন্ডু ব্যাংক এর মারফত দেড় লক্ষ টাকা ও হাত দিয়ে এক লক্ষ নগদ টাকা রাকেশ কে দেওয়া হয়। গত এক মাস পেরিয়ে গেলেও রাকেশ পায়েল কুন্ডু কে চাকরির বিসয়ে কোনো যোগাযোগ করেনি।
https://www.facebook.com/230205334351193/videos/1053360405131840
এই নিয়ে পায়েল কুন্ডু বহুবার তার সাথে যোগাযোগ করতে গেলে গত মাসে পায়েল কুন্ডু মেলে স্বাস্থ্য দপ্তরের গ্রুপ ডি পদে চাকরির জন্য একটি নিয়োগপত্র দেওয়া হয়। যে নিয়োগপত্রটি সম্পন্ন ভুল। সেই দেখেই পায়েল কুন্ডু সন্দেহ হলে পায়েল কুন্ডু অভিযুক্ত রাকেশ বেড়ার কাছ থেকে টাকা ফেরতের দাবি জানায়।
রাকেশ তাকে 70 হাজার টাকার একটি চেক ফেরত দেয়। কিন্তু দেখা যায় সেই চেক পায়েল কুন্ডু ব্যাংকে জমা করলে সেই চেক বাউন্স হয় অর্থাৎ চেক এর এগেনস্টে তার ব্যাংকে কোন টাকা নেই।
বিষয়টি আর আর দেরি না করে পায়েল কুন্ডু সোজা মালদার সাইবার ক্রাইম থানার তে এসে সম্পূর্ণ বিষয়টি নিয়ে অভিযুক্ত রাকেশ ভেড়া এবং তার স্ত্রী সোনালী বেড়া ও তার স্ত্রী এক বান্ধবী মৌমিতা মজুমদারের নামে লিখিত অভিযোগ করে।
শুরু হয় পুলিশি তদন্ত। মালদা সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ বিষয়টি তদন্তে নেমে মূল অভিযুক্ত রাকেশ বেরা কে গ্রেপ্তার করে।
বৃহস্পতিবার মূল অভিযুক্ত রাকেশ বেরাকে মালদা সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ মালদা জেলা আদালতে পেশ করে।
এই বিষয়ে আরও কেউ জড়িত রয়েছে কি-না সে বিষয়ে সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।