ফাঁকা বাড়ির সুযোগে দিনে দুপুরে বাড়িতে ঢুকে দুঃসাহসের চুরির ঘটনায় গ্রামজুড়ে আতঙ্ক।একের পর এক বাড়িতে প্রতিনিয়ত চুরির ঘটনায় গ্রামজুড়ে তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়েছে চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে মালদার মানিকচক থানার মথুরাপুর অঞ্চলের নিমনগর গ্রামে।একাধিক চুরির ঘটনায় চরম নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছে গ্রামবাসীরা।শনিবার দুপুরে চুরির ঘটনায় বাড়ির সমস্ত মূল্যবান সামগ্রী নগদ টাকা নিয়ে চম্পট দেয় চোরেরা।
নিমনগর গ্রামের বাসিন্দা বাবলু কুন্ডু। পেশায় হাটে বাজারে বিভিন্ন রকমের সবজি বিক্রেতা।প্রতিদিনের মতো মথুরাপুরে হাটে বাড়িতে তালা দিয়ে স্ত্রীকে নিয়ে সবজি সহ বিভিন্ন খাদ্য সামগ্রী বিক্রি করতে যায়। এদিকে ছেলের সুমন কুন্ডু নিজের কাজে বেরিয়ে পড়েন।সন্ধের সময় বাড়ি ফিরে আসতেই চোখ কপালে ওঠে পরিবারের সদস্যদের। বাড়ির সমস্ত তালা ভাঙ্গা। ঘরের ভেতরের সমস্ত বাক্স আলমারি সামগ্রিক ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে গোটা ঘরে। তখনই বুঝতে পারেন বাড়িতে চুরির ঘটনা ঘটেছে। মুহূর্তের মধ্যে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকা জুড়ে। কারণ কয়েকদিনের অন্তরে একই গ্রামে আবার চুরির ঘটনা তাও আবার দিনে দুপুরে। গোটা ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে গ্রামজুড়ে।সমস্ত রকম বাড়ির লকার ভেঙে বাড়িতে থাকা কয়েক ভরি সোনা চাঁদি নগদ টাকা সর্বস্ব নিয়ে চম্পট দিয়েছে চোরের দল বলে জানেন বাড়ির মালিকেরা।
স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, গত সপ্তাহের শনিবারের দিনেই চুরির ঘটনা ঘটেছিল গ্রামেরই বাসিন্দা পেশায় শিক্ষক লোকেশ রবিদাসের বাড়িতে। এখন মত বাড়িতে থাকা মূল্যবান সামগ্রী গুলি সোনা গয়না টাকা নিয়ে চম্পট দিয়েছিল চোরের দল। এক সপ্তাহ পর আবার শনিবারে এই চুরির ঘটনা রীতিমতো গ্রামবাসীদের স্তবহিত করে দিয়েছে। গ্রামের আশেপাশে কোন রকম জুয়া মদের আসর বসছে না। তারপরও এই চুরির ঘটনা ঘটায় কারা এই ঘটনায় যুক্ত তা ভাবাচ্ছে গ্রামবাসীদের।
এ প্রসঙ্গে শিক্ষক তথা গ্রামের বাসিন্দা লোকেশ রবিদাস জানান, গত শনিবার সন্ধের সময় বাড়ি থেকে বাইরে গিয়েছিলেন সামান্য কিছু কাজে। পাকা বাড়ির সুযোগের আমার বাড়িতে চুরি করে সর্বস্ব নিয়ে পালায় চোরেরা। ঠিক একই মত আজ আবার একরামের আরো একটি বাড়িতে চুরির ঘটনা ঘটলো। পুলিশ প্রশাসনের কাছে বিষয়টি জানানো হয়েছিল।নিরাপত্তার জন্য বলা হয়েছিল তারপরও সঠিক গুরুত্ব নেয়নি পুলিশ বলে আবার চুরির ঘটনা ঘটছে। প্রচন্ড নিরাপত্তাহীনতার ভুগছে গ্রামের মানুষ। একের পরে এক চুরির ঘটনায় কার্যত প্রশাসন যাতে উচিত ব্যবস্থা গ্রহণ করে সে দাবি তুলেছেন গ্রামবাসীরাও। গোটা ঘটনার তদন্ত প্রক্রিয়া শুরু করেছে মানিকচক থানার পুলিশ।