গ্রাম পঞ্চায়েত ভবনের পুরনো সামগ্রী অবৈধভাবে বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ উঠল গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান, উপপ্রধানসহ বেশ কিছু সদস্যের বিরুদ্ধে। অভিযোগের সরব হয়েছেন গ্রাম পঞ্চায়েতের একাংশ সদস্য। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন গ্রাম পঞ্চায়েতের উপ-প্রধান।জানা গিয়েছে রতুয়া-১ ব্লকের বাহারাল গ্রাম পঞ্চায়েতর তিনটি পুরনো বিল্ডিং ভেঙ্গে সেখানে নতুন কমিটি হল তৈরি করা হবে। তার জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে প্রায় ২২ লক্ষ টাকা। সেই মতো শুরু হয় পুরনো বিল্ডিং ভাঙার কাজ।
এরপর দেখা যায় পুরনো বিল্ডিংর সামগ্রী সহ অন্যান্য উপকরণ সেখান থেকে উধাও হয়ে যায়। গ্রাম পঞ্চায়েতের একাংশ সদস্যের অভিযোগ টেন্ডার না করে সেই পুরনো সামগ্রী অবৈধভাবে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে।বাহারাল গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য অবাইদুল্লার অভিযোগ আমাদের পঞ্চায়েতের তিনটি পুরনো বিল্ডিং ভেঙ্গে সেখানে নতুন কমিউনিটি হল তৈরি হবে। তার জন্য মনজুর হয়েছে প্রায় ২২ লক্ষ টাকা। এমত অবস্থায় প্রধান জুসি সাহা মন্ডল এবং উপ-প্রধান হিম্মাত খানসহ আরো তিনজন গ্রাম পঞ্চায়েতে সদস্য টেন্ডার না করে অবৈধভাবে নিজস্ব এক ঠিকাদারকে সঙ্গে নিয়ে বিল্ডিং ভাঙ্গার কাজ শুরু করেন।
এরপর সেই বিল্ডিংর ভাঙ্গা সামগ্রী এবং উপকরণ বিক্রিও করে দিয়েছেন। বিষয়টি আমরা জানতে পেরে তাদের জিজ্ঞাসা করলে তারা আমাদেরকে কোন কিছু জানাতে চাইনি।তারা বিজেপির লোক। আমাদের তৃণমূলের অন্যান্য সদস্যদের কিছুই জানায় না। বাহারা গ্রাম পঞ্চায়েতের মোট আসন সংখ্যা ১৮। এর মধ্যে ১৩ জন তৃণমূলের সদস্য, এবং বিজেপির সদস্য প্রধান জুসি সাহা মন্ডল উপ-প্রধান হিম্মাত খান সহ আরও তিনজন। তারা আগে তৃণমূল ছিল তবে গত বিধানসভার আগে বিজেপিতে যোগদান করেছে। বিষয়টি আমরা লিখিতভাবে রতুয়া থানা ও রতুয়া-১ ব্লকের বিডিওকে জানিয়েছি।একই বক্তব্য গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য সিতারা বিবির।