গোটা দেশ জুড়ে আছড়ে পড়েছে করোনার ‘দ্বিতীয় ঢেউ’। এই অবস্থায় সরকারী উদ্যোগে সারা দেশ ও রাজ্যের জুড়ে বাঁকুড়া জেলা জুড়ে চলছে কোভিড টিকাকরণের কাজ। তবে ‘পর্যাপ্ত’ কোভিড টিকা না থাকায় বিষ্ণুপুর স্বাস্থ্য জেলায় আপাতত বন্ধ টীকাকরণের কাজ। সমস্যায় অসংখ্য মানুষ।
বৃহস্পতিবার বাংলা নববর্ষের প্রথম দিন বিষ্ণুপুর সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালের টিকাকরণ কেন্দ্রে গিয়ে দেখা গেল দরজায় তালা ঝোলানো। আর গেটের বাইরে সাদা কাগজের উপর ‘Covid Vaccine এর Supply কম থাকার জন্য First Dose Vaccination সাময়িকভাবে বন্ধ থাকিবে, কেবলমাত্র Due 2nd Dose হইবে’ লেখা বিজ্ঞপ্তি দিয়ে দায় সেরেছে কর্তৃপক্ষ বলে অভিযোগ। এই অবস্থায় আগাম খবর না পেয়ে অনেকেই টীকাকরণ কেন্দ্রে এসেও ফিরে যেতে বাধ্য হচ্ছেন। সঠিক তথ্য জানানোর জন্য ঐ কেন্দ্রে কেউ উপস্থিত নেই বলেই অভিযোগ।
বিশেষ সূত্রে পাওয়া খবর, এখনো পর্যন্ত বাঁকুড়া স্বাস্থ্য জেলায় প্রায় ২ লক্ষ ও বিষ্ণুপুর স্বাস্থ্য জেলায় প্রায় ১ লক্ষ ভ্যাকসিন এসেছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ৭৯ জন ওন্দা কোভিড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। একই সঙ্গে শুধুমাত্র বাঁকুড়া স্বাস্থ্য জেলায় ২০০ জন হোম আইসোলেশানে আছেন বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে।
৭৮ বছর বয়সী অবসরপ্রাপ্ত প্রাথমিক শিক্ষক দুর্গাসাধন বিশ্বাস বলেন, প্রথম ডোজ নিয়েছি। দ্বিতীয় ডোজের জন্য ইতিমধ্যে তিন দিন এসে ঘুরে যাচ্ছি। কবে সেই বহু আকাঙ্খিত দ্বিতীয় ডোজ তিনি পাবেন জানেননা বলে তিনি জানান।
একই অভিজ্ঞতা পেশায় শিক্ষক কাজল পালেরও। তিনি বলেন, যতোদূর জানি কোভিড টীকাকরণ কেন্দ্রে ছুটি নেই। কিন্তু এখানে আসছি আর ফিরে যাচ্ছি। এই ঘটনায় তার মতো অনেকেই হায়রানির শিকার হচ্ছেন বলে তিনি অভিযোগ করেন।
শান্তিনাথ পাল নামে আর এক শহরবাসী বলেন, ভ্যাকসিন উৎসবের ঘোষণা শুনেছি। কিন্তু এখানে এসে দেখছি কেউ কোথাও নেই। তাহলে জেলায় জেলায় ভ্যাকসিন সরবরাহের সব ঘোষণা কি কথার কথা ও ভ্যাকসিন উৎসব কি শেষ হয়ে গেল বলেও তিনি প্রশ্ন তোলেন।
যদিও এবিষয়ে বিষ্ণুপুর স্বাস্থ্য জেলার তরফে কোন প্রতিক্রিয়া মেলেনি। সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিরা বিষ্ণুপুর জেলা আধিকারিককে একাধিক বার ফোন করলেও তিনি ফোন ধরেননি।