বারুইপুর মহকুমা প্রশাসনের উদ্যোগে এদিন মোট ৯০ জন বন্দীকে ভ্যাক্সিন দেওয়া হয়েছে ৷ প্রত্যেককে সমস্ত সরকারি নিয়ম মেনেই এই ভ্যাক্সিন দেওয়ার কাজ হয়েছে বলে জানা গিয়েছে ৷ বারুইপুর জেল সুত্রে জানা গিয়েছে মোট ১০১২ জন বন্দী রয়েছেন এখানে ৷ এরমধ্যে জেল থেকে ছাড়া পাওয়া বাংলাদেশের এক বাসিন্দাও রয়েছেন ৷
সংশোধনাগারের মধ্যে যাতে কোভিড ছড়িয়ে না পরেন তারজন্য প্রথম থেকে সচেতন ছিল কারা দপ্তর ৷ ভ্যাক্সিন বাজারে আসার পর থেকেই বন্দীদের মধ্যে ভ্যাক্সিন নিয়ে সচেতনতা তৈরির কাজ শুরু করা হয় সংশোধনাগার কতৄপক্ষের পক্ষ থেকে ৷ দীর্ঘ আলাপ আলোচনার পর এবং বিশেষজ্ঞদের বোঝানোর পর এই বিষয়ে তাদের সচেতনতা করা গিয়েছে ৷ এছাড়া প্রতিটি সেলে যে টেলিভিশন রয়েছে সেখান থেকেও তাদের মধ্যে সচেতনতা তৈরি হয়েছে বলে জানা গিয়েছে জেল সুত্রে ৷ বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালে একটি টিম এদিন সংশোধনাগারে গিয়ে বন্দীদের ভ্যাক্সিন দেওয়ার কাজ করছেন ৷ উপস্থিত ছিলেন বারুইপুরের মহকুমাশাসক সুমন পোদ্দার, অতিরিক্ত মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ইন্দ্রনীল মিত্র ও সংশোধনাগারের আধিকারিকরা ৷
বারুইপুর সংশোধনাগারের সুপার অসিতবরণ নস্কর জানান কোনও বন্দী প্রথমে সংশোধনাগারে এলেই তাদের তাপমাত্রা পরীক্ষা করা হয় ৷ এছাড়া তাদের হাতে সংশোধনাগারের পক্ষ থেকে তুলে দেওয়া হয় স্যানিটাইজার ও মাস্ক ৷ তারপর তাদেরকে রাখা হয় আইসোলেশন সেলে ৷ সেখানে কয়েকদিন রেখে দেখা হয় তাদের কোনও শারীরিক সমস্যা হচ্ছে কিনা ৷
কারোর কোনও শারীরিক সমস্যা হলে তাদের জেলেরই হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ৷ সংশোধনাগারের মোট ৪৯ বেডের একটি হাসপাতাল রয়েছে ৷ যার একাংশে কোভিড চিকিৎসার জন্য পরিকাঠামো তৈরি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশোধনাগারের সুপার ৷ যে সমস্ত বন্দীরা এদিন টিকা নিলেন না তাদের মধ্যে সচেতনতা তৈরির কাজ শুরু হয়েছে ৷ প্রতিটি সেলের বাইরে এই সংক্রান্ত প্রচার পোস্টাল লাগানো হয়েছে ৷ এছাড়া সংশোধনাগারের পক্ষ থেকেও প্রচার চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন অসিত বরণ নস্কর ৷