যুবতীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারের ঘটনায় ব্যপক উত্তেজনা।প্রতিবেশীদের অভিযোগ ওই যুবতীকে জোর করে দেহ ব্যবসায় নামানোর চেষ্টা করে তার মা। ঘটনার জেরে মৃতার মাকে পাকড়াও করে বেঁধে রাখেন পাড়ার লোকজন।পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়। মৃতার মাকে আটক করেছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে মালদার চাঁচোল থানার বুজরুক শীতলপুর গ্রামে। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের পাঠিয়ে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে,মৃতার নাম শিবানী দাস(১৯)। তার মা লক্ষ্মী দাস দিল্লিতে কাজ করেন বলে জানা যায়।
পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে লক্ষ্মী দাসের দুই মেয়ে। দুই মেয়েরই বিয়ে হয়ে গিয়েছে। শিবানী ছিলেন ছোট মেয়ে। তিন মাস আগে পাশের গ্রামের বাসিন্দা মহাবীর দাসের সঙ্গে তার বিয়ে হয়েছিল।
সম্প্রতি লক্ষ্মী দাস দিল্লি থেকে চাঁচোলের বাড়িতে ফিরেছে।মৃতার আত্মীয় রাজু দাস জানান মায়ের সঙ্গে দেখা করতে শনিবার সকালে মেয়ে শিবানী বাপেরবাড়ি আসেন।তারপরেই এই ঘটনা। এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ লক্ষ্মী দাস দেহ ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। সে বিভিন্ন জায়গা থেকে দেহ ব্যবসা করার জন্য দিল্লিতে মেয়েদের নিয়ে যেত। নিজেও এই ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত।অভিযোগ মেয়েকেও দেহ ব্যবসায় নামতে চাপ সৃষ্টি করছিল লক্ষ্মী।
https://www.facebook.com/230205334351193/videos/436594067499989
কিন্তুু শিবানী তা রাজি হয়নি। মেয়েকে জোরপূর্বক দিল্লিতে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টাও করে লক্ষ্মী বলে দাবি প্রতিবেশীদের। ঘটনা বুঝতে পেরে মেয়ে বাড়ি থেকে পালাতে গেলে তাকে মারধর করে ঘরের মধ্যে ঢুকে তালা দিয়ে দেয়। এরপর রবিবার সকালে শিবানীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়।
পাড়ার লোকজন লক্ষ্মীকে জেরা করতেই বেগতিক বুঝে মা লক্ষ্মী দাস পালাতে গেলেই গ্রামের বাসিন্দারা তাকে ধরে ফেলেন। তার হাত-পা বেঁধে উঠোনে আটকে রাখা হয়।খবর পেয়ে চাঁচল থানার পুলিশ এসে লক্ষ্মী দাসকে আটক করে নিয়ে যায়। এরপর মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে ঘটনার তদন্ত শুরু করে।
চাঁচল থানার আইসি সুকুমার ঘোষ বলেন, মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সুয়োমোটো মামলা করে ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে।