দেখলে অবাক হবেন যে আমাদের ভারত নাকি এখন উন্নত ।সেখানে সব কিছুই নাকি খুব সহজ লভ্য এবং দ্রুত গতি তে হয়ে থাকে।
তবে কেনো বা আজ এই রকম অমানবিক ছবি দেখা যাচ্ছে আমাদের ভারতে । সম্পূর্ন বিষয়টি চলুন জেনে নেয়া যাক ।
জেলা হাসপাতাল দেহ বহনের গাড়ি দিতে অস্বীকার করে মাতৃহারা পুত্রকে। আর হতভাগ্য পুত্রের তো বেসরকারি গাড়ি ভাড়া করে মায়ের দেহ গ্রামে নিয়ে যাওয়ার মতোই টাকাই নেই হাতে! অতএব, এই অমানবিকতার সঙ্গে লড়াই করে এই অমানুষিক এক কর্মে নামতে হয় ছেলেকে!অশ্রুসজল চোখে বেদনার্ত মন নিয়ে পাড়ি দিতে হয় দীর্ঘ পথ– ৮০ কিলোমিটার!অবিশ্বাস্য ভারত।এটি হলো তাই।
ঘটনাটি মধ্যপ্রদেশের অনুপ্পুর জেলার শাহদল মেডিকেল কলেজে। শুধু যে মায়ের মরদেহ বহনের ক্ষেত্রে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়নি উক্ত মেডিকেল কলেজটি, তা নয়, ছেলের অভিযোগ, তাঁর মায়ের চিকিৎসার ক্ষেত্রেও গাফিলতি করেছে তারা। গাড়ি না পেয়ে ছেলে ১০০ টাকা খরচ করে কোনও রকমে একটি কাঠের তক্তা কিনতে পেরেছিলেন। সেই তক্তায় মায়ের দেহ বেঁধে নিয়ে নিজের গ্রামের পথে ৮০ কিলোমিটার পাড়ি দেন তিনি।
মধ্যপ্রদেশের অনুপ্পুর জেলায় গুদারু গ্রামের মানুষ তিনি।বুকে ব্যথা জনিত কারনে তিনি প্রথমে জেলা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। পরে তাঁর অবস্থার অবনতি হতে তাঁকে মেডিকেল কলেজে স্থানান্তরিত করা হয়। কিন্তু রাতেই মারা যান তিনি। রোগীর ছেলে সুন্দর যাদব তাঁর মায়ের মৃত্যুর জন্য নার্সদের অবহেলা ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের উদাসীনতাকে দায়ী করেন। এই হলো আমাদের বর্তমন ভারতের উন্নত যেখানে সামান্য গরিব লোকেদের সাহায্য করা উচিত বলে মনে করে না।