দেশজুড়ে যখন কৃষকরা আন্দোলনে, ঠিক তখনই কৃষকদের পাকা ধানের জমি পিএইচই দপ্তরের উদাসীনতায় জলে ডুবলো।ঘটনা ঘিরে চরম ক্ষতির আশঙ্কা কৃষকদের। ঘটনাটি সামনে এসেছে মালদার মানিকচকের মথুরাপুরে অঞ্চলের কামালপুর এলাকায়।চাষীদের অভিযোগ প্রায় ৫০ বিঘা পাকা ধানের জমি বর্তমানে জলের তলায়।পিএইচই দপ্তরের পরিশোধিত ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট কেন্দ্র থেকে অপ্রোজনীয় জল পাকা ধানের জমি প্লাবিত করেছে।যদিও দ্রুত ব্যবস্থার আশ্বাস মালদা জেলা পরিষদের সভাধিপতির।
মানিকচক ব্লকের কামালপুর এলাকায় অবস্থিত রয়েছে পিএইচই দপ্তরের জল পরিশোধিত ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট কেন্দ্র। অভিযোগ কেন্দ্রের অপ্রয়োজনীয়’ জল কামালপুর এলাকার একটি সরকারি পুকুরে ফেলা হয়েছে দপ্তরের তরফে। বিপুল পরিমাণে জল ফেলার ফলে সেই জলে প্লাবিত হয়েছে পুকুর সংলগ্ন জমি।চাষীদের অভিযোগ বর্তমানে প্রায় ৫০ বিঘা পাকা ধানের জমি জলে ডুবেছে। ধন কেটে ঘরে তোলার আগে এভাবে জলের তলায় তলিয়ে যাওয়ায় চরম ক্ষতির আশঙ্কা করছেন চাষিরা।
https://www.facebook.com/230205334351193/videos/739044033376797
চাষীরা জানিয়েছেন,এই এলাকায় শতাধিক পরিবার চাষবাস করে নির্বাহ করেন। লকডাউন এর পরবর্তীতে ঋণ নিয়ে জমিতে চাষ বাস করেছেন। ধান পেকে যাওয়া কাটার কাজ শুরু হতে চলেছে। ঠিক সেই সময় পিএইচই দপ্তরের জল প্লাবিত করে দিয়েছে গোটা পাকা ধানের জমি বলে অভিযোগ চাষীদের। বিগত বছরগুলোতে ঠিকা একই রকম সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে এলাকার চাষীদের পরিবার। সে সময় PHE কর্তৃপক্ষ ও ব্লক প্রশাসনকে জানানোর পরও কোনো সুরাহা হয়নি বলে অভিযোগ। তবে বর্তমানে পাকা ধনের জমিতে জল প্রবেশ করায় কার্যত মাথায় হাত পড়েছে চাষীদের। দ্রুত জমি থেকে জল সরিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা করুক কর্তৃপক্ষ সেই দাবি করেছেন ক্ষতিগ্রস্ত চাষীরা। তা না হলে চরম আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়বেন সমস্ত চাষীরা বলে জানিয়েছেন তারা।
যদিও ঘটনা নিয়ে PHE কর্তৃপক্ষের কোনো বক্তব্য না পাওয়া গেলেও দ্রুত ব্যবস্থার আশ্বাস দিয়েছেন মালদা জেলা পরিষদের সভাধিপতি গৌড় চন্দ্র মন্ডল।তিনি জানান, পিআইসি দপ্তরের অপ্রয়োজনীয় জল প্লাবিত হয়ে যাওয়ার সমস্যা হয়েছে চাষীদের। তাই চাষীদের যাতে করে কোনো রকম ক্ষতির সম্মুখীন হতে না হয় তার জন্য পিএইচই দপ্তরের ইঞ্জিনিয়ার থেকে আধিকারিকদের সমগ্র বিষয়টি জানিয়ে দ্রুত জল নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।