‘গে’ বা ‘লেসবিয়ান’ শুনলেই কি আপনি আঁতকে ওঠেন? রেগে যান? কিংবা ‘হোমো’ বলে খিল্লি করেন? ঘাবড়াবেন না। আপনার সম্ভবত ‘সমকামভীতি’ আছে। সমকামভীতি মানে ওঁদের দেখলেই ‘বাবা গো-মা গো’ বলে দৌড় দেওয়া নয়। সে তো ভয়ের একটা প্রকাশ। অন্য রকমের প্রকাশও আছে। আগেভাগেই তেড়ে যাওয়ার মধ্যেও ‘এই বুঝি আক্রান্ত হলাম’-এর ভয় থাকে! বেড়ালের অ্যান্টিসিপেটরি রোঁয়া ফোলানের মতো।বিষমকামীদের সঙ্গে শত্রুতা করবে বলে কেউ সমকামী হন না।
অস্ত্র নামিয়ে ফেলতে পারেন। আপনি সুরক্ষিত। সমকামভীতি কোনও অসুখ নয়। এটি জিনবাহিত নয়। তবে পরিবেশলালিত।হোমোঅ্যাগ্রেসিভ’ মন্তব্য করেন। অন্যকে বোঝাতে চান, আমি সমকামী নই! এ বড় যন্ত্রণার। নিজের থেকে নিজে পালানোর বিফল প্রয়াস।সমকামী মানুষদের মধ্যেও নিজেকে নিয়ে লজ্জা বা ভীতি থাকতেই পারে। অনেকে সমলিঙ্গের প্রতি আকৃষ্ট হয়েছেন টের পাওয়ার পর নিজেই নিজেকে ভয় পেয়ে যান। কেউ কেউ সমকামবিরূপ ক্যাম্পে নাম লেখান।সমকামভীতি এক ধরণের মানসিকতা, যা অজস্র ভুল ধারণার যোগফল।
অনেকেই আপনার মতো এই মনোভাব পোষণ করেন। এই মানসিকতার কারণে নিজের অসুবিধা না হলেও অন্যের ক্ষতি হয়। অনেকেই সমপ্রেমীদের পায়ে পা দিয়ে অসম্মান করে ফেলেন। লোকসমক্ষে, নেটমাধ্যমে সমকামীদের আক্রমণ করতে গিয়ে নিজেদের অজ্ঞতা জাহির করে ফেলেন। অনেক সময় অন্যকে নিয়ে চটুল মজা করতে গিয়ে নিজেরাই হাসির খোরাক হন। যৌনরুচির স্বাধীনতা নিয়ে যে যে সংগঠন কাজ করছে তাদের রোষের মুখে পড়েন। এবং সেই প্রথম টের পান, এঁরাও সংখ্যায় কম নন।