প্রতিটি জিনিস তৈরি করতেই কিছু না কিছু খরচ হয়। আর সেই খরচের ওপর ভিত্তি করেই নির্ধারিত হয় সেটির দাম। এমনকি, যানবাহনের ক্ষেত্রেও সেই বিষয়টি পরিলক্ষিত হয়। এমতাবস্থায়, আমাদের সকলেরই একাধিক সংস্থার গাড়ি বা বাইক থেকে শুরু করে বিভিন্ন যানবাহনের দাম সম্পর্কে কমবেশি কিছুটা ধারণা রয়েছে। তবে, আপনি কি কখনও ভেবে দেখেছেন যে, দেশের অন্যতম জনপ্রিয় গণপরিবহণ ট্রেনের (Train) দাম ঠিক কতটা হয়? পাশাপাশি, রাজধানী থেকে শুরু করে বন্দে ভারত কিংবা আসন্ন বুলেট ট্রেনেরই বা দাম কত? অনেকেই এই বিষয়গুলি সম্পর্কে অবগত নন। তাই, বর্তমান প্রতিবেদনে এই প্রসঙ্গে বিস্তারিত তথ্য উপস্থাপিত করা হল।প্রথমেই জানিয়ে রাখি যে, বর্তমান সময়ে ভারতীয় রেলে সাধারণত দু’ধরনের কোচ ব্যবহার করা হয়।
সেগুলির মধ্যে একটি হল ICF কোচ। পাশাপাশি, অন্যটি হল LHB কোচ। এদিকে, এই কোচগুলির দামের মধ্যেও রয়েছে কিছুটা পার্থক্য। জানা গিয়েছে, ICF কোচের দাম হল ৮০ লক্ষ টাকা। এদিকে, LHB কোচের দাম হল প্রায় ৭২ লক্ষ টাকা। তবে, AC কোচগুলি আবার এগুলির তুলনায় কিছুটা দামি হয়। সেগুলির দাম হয়ে যায় প্রায় দেড় কোটি টাকা।পাশাপাশি, বর্তমানে ট্রেনে দুই ধরণের ইঞ্জিন ব্যবহৃত হয়। সেগুলির মধ্যে একটি হল বৈদ্যুতিক এবং অন্যটি হল ডিজেল চালিত ইঞ্জিন।
এমতাবস্থায়, বৈদ্যুতিক ইঞ্জিন (WAP-7)-এর দাম হল প্রায় ১২.৩৮ কোটি টাকা। পাশাপাশি, ডিজেল চালিত ইঞ্জিন (WAP-4D)-এর দাম হল ১৩ কোটি টাকা।আমাদের দেশে রাজধানী এক্সপ্রেস হল একটি জনপ্রিয় ট্রেন। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছুটে চলে এই ট্রেনটি। এমতাবস্থায়, এই ট্রেন তৈরির খরচ জানলে রীতিমতো চোখ কপালে উঠবে। জানা গিয়েছে, রাজধানী এক্সপ্রেস তৈরির আনুমানিক খরচ হল ৭৫ কোটি টাকা।বর্তমান সময়ে দেশের সবথেকে আলোচিত ট্রেন হল বন্দে ভারত এক্সপ্রেস।
আপাতত দেশের পাঁচটি রুটে চলাচল করছে এই ট্রেন। পাশাপাশি, আমাদের রাজ্যেও হাওড়া থেকে নিউ জলপাইগুড়ি রুটে সফর শুরু করেছে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। এমতাবস্থায়, সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে জানা গিয়েছে যে, নতুন প্রজন্মের বন্দে ভারত এক্সপ্রেস তৈরির ক্ষেত্রে খরচ হয়েছে প্রায় ১১৫ কোটি টাকা। অর্থাৎ, এক একটি ট্রেন তৈরি করতে যে কি বিপুল পরিমান অর্থের খরচ হয় তা এই পরিসংখ্যানে সহজেই স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে।