ইডি হেফাজতে থাকাকালীন ৪৮ ঘণ্টা অন্তর অন্তর জোকা ইএসআই-তে গিয়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষা হত পার্থর। প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে আসার পর থেকে জেলের চিকিৎসক ছাড়া আর সেভাবে স্বাস্থ্য পরীক্ষা হয়নি রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রীর। জেলের চিকিৎসক ছাড়া আর সেভাবে স্বাস্থ্য পরীক্ষা হয়নি রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রীর। আজ পায়ে ব্যথা, পা ফোলা, কাল কোমরে ব্যথা এসব তো লেগেই রয়েছে তাঁর।
এছাড়া অতীতের বেশ কিছু ক্রনিক রোগ তো আছেই। তবে তার যা সমস্যা তা জেলের চিকিৎসকদের দিয়ে মেটানো সম্ভব না।তাই স্বাস্থ্য ভবনের নির্দেশে বিশেষ ডাক্তারদের দল পৌঁছায় প্রেসিডেন্সিতে।
চিকিৎসকদল প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে দেখেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে।
দলে ছিলেন অর্থোপেডিক, কার্ডিওলজিস্ট, ডেন্টিস্ট, মেডিসিন বিশেষজ্ঞরা। ভাল করে পর্যবেক্ষণের পর রোজনামচায় বেশ কিছু পরিবর্তন আনার কথা বলেন চিকিৎসকরা।ওজন কমাতে পরামর্শ দেন রোজ ব্যায়াম করার। এমনকি রোজের মেনু থেকে তাঁরা পার্থকে বাদ দিতে বলেন ভাতও। পরামর্শ দেন শোওয়ার ধরণ বদলানোরও।
জেলে আসার পর থেকে খাওয়া নিয়ে পার্থর বায়নাক্কা সামান্য কমলেও সূত্রের খবর, ভাত না খাওয়ার কথা শুনে একটু মুষড়েই পড়েছেন তিনি। এখনই ভাত ছাড়তে নারাজ তিনি। যদিও পার্থ চট্টোপাধ্যায় ডায়াবেটিক রোগী হওয়ায় যথেষ্ট মেপেঝুপেই তৈরি করা হয়েছে তাঁর ডায়েট চার্ট।আপাতত, পায়ের ব্যথা ও পা ফোলার কথা মাথা রেখে জেলের ফিজিওথেরাপিস্টকে পাঠানো হবে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে।খুব তাড়াতাড়ি পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের শারীরিক পরীক্ষা করা প্রয়োজন।