মারিয়া এলেনা ডি ওব্লাদিয়া নামের একজন গবেষক বলেন, মশার আকর্ষণ শনাক্ত করার জন্য একটি ল্যাব টেস্ট করা হয়েছিল। মানুষের গন্ধ একে অপরের গায়ে ছিটিয়ে দেওয়া হয়। ঘামে গন্ধটা মুছে দেওয়া হয়। এই গবেষণাটি সম্প্রতি সেল জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। গবেষকরা ৬৪ জন স্বেচ্ছাসেবককে হাতের সামনে নাইলন স্টকিংস পরতে বলেছিলেন। যাতে স্টকিংসে শরীরের গন্ধ আসে।
এর পরে স্টকিংস আলাদা টিউবে স্থাপন করা হয়। তারপর কয়েক ডজন মশা ছেড়ে দেওয়া হয়। মারিয়া জানান, বিশেষ কয়েকটি স্টকিংসে মশা বেশি এসেছিল। সমীক্ষাতেই তাৎপর্যপূর্ণ ফলাফল উঠে এসেছে। নিউইয়র্কের রকফেলার ইউনিভার্সিটির নিউরোবায়োলজিস্ট লেসলি ভোশেল বলেন, যদি আপনার ত্বকে কোনো বিশেষ রকমের নির্দিষ্ট ধরনের পদার্থ থাকে, তাহলে মশার কামড় এড়াতে পারবেন না।
ইউনিভার্সিটি অফ ওয়াশিংটনের নিউরোবায়োলজিস্ট জেফ রিফেল বলেছেন, গবেষকরা মশাকে দূরে রাখার নতুন উপায় বের করতে পারেন। আপনি আপনার ত্বকের ক্ষতি না করে এই অ্যাসিডগুলি থেকে মুক্তি পেতে পারেন। আপনার গন্ধ পরিবর্তন করা যেতে পারে শুধুমাত্র আপনার ত্বকে উপস্থিত ব্যাকটেরিয়ার মাধ্যমে। রিফেল বলেছেন যে মশা থেকে পরিত্রাণ পাওয়া এত সহজ নয়।
এই ধরনের প্রযুক্তির উন্নয়নে সময় লাগবে।ফ্লোরিডা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির নিউরোসায়েন্টিস্ট ম্যাট ডিগনারো বলেন, ওই ব্যক্তিদের ওপর টানা কয়েক বছর পরীক্ষা করা হলে অনেক ভালো ও সঠিক ফলাফল বেরিয়ে আসবে। তাহলেই জানা যাবে কোন গন্ধে আকৃষ্ট হয়ে মশা বেশি কামড় দেয়।