বিজেপি টাকা দিচ্ছে এবং সেই টাকায় মদের নেশায় বুদ হয়ে কয়েকজন যুবক যোগ দিচ্ছে বিজেপিতে।তারাই বিজেপিতে যোগ দিয়ে পূর্বে তৃণমূলে ছিল বলে দাবি করছে।বিজেপির বিরুদ্ধে এমনটাই আক্রমন করলেন মালদহের চাঁচল-১ নং ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস কমিটির সভাপতি শচীদানন্দ চক্রবর্তী।তৃণমুলে ভাঙন ধরেছে তাই তারা যা খুশি বলছে বলে দাবি বিজেপির।
উল্লেখ্য,বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উত্তর মালদা কেন্দ্রের বিজেপি সাংসদের উপস্থিতিতে প্রায় ১০০ জন সংখ্যালঘু যোগ দিয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে বিজেপির তরফে।আবার পাশের এক এলাকাতে আরেকটি যোগদান কর্মসূচিতে যেতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ সাংসদ এবং বিজেপি নেতাদের। অভিযোগের তীর তৃণমূলের দিকে ছুড়লেও অভিযোগ অস্বীকার তৃণমূলের। সঙ্গে সংখ্যালঘুদের যোগদানকে মিথ্যে বলে কটাক্ষ তৃণমূলের।সব মিলিয়ে চাঁচল বিধানসভার রাজনৈতিক পারদ চরমে বলা বাহুল্য।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মালদহের চাঁচল বিধানসভার খরবা গ্রামপঞ্চায়েত এলাকার হাই স্কুল মাঠে বিজেপির একটি যোগদান কর্মসূচি হয়।এই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন উত্তর মালদহের সাংসদ খগেন মুর্মু,মালদা জেলা সম্পাদক এবং যোগদান প্রমুখ দীপঙ্কর রাম, জেলা সম্পাদক রতন দাস,বিজেপি নেতা কাজল গোস্বামী,সুভাষ কৃষ্ণ গোস্বামী সহ অন্যানরা। এখানে প্রায় ১০০ জন সংখ্যালঘু যুবক বিজেপিতে যোগ দেন। এদের মধ্যে বেশিরভাগই তৃণমূলের এবং কয়েকজন সিপিএম,কংগ্রেসেরও রয়েছে।এমনটাই দাবি বিজেপি নেতৃত্বের।
অন্যদিকে কলিগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের নুরগঞ্জ গ্রামে বিজেপির আর একটি যোগদান কর্মসূচি ছিল।তাদের অভিযোগ সেখানে তাদের ঢুকতে দেবে না বলে বাধা প্রদান করছে তৃণমূল।কিন্তু তৃণমূলের দাবি ওখানে বিজেপি বলে কিছুই নেই।
আর বিজেপি টাকার লোভ দেখিয়ে গ্রাম্য মানুষকে বিজেপিতে যোগদান করাচ্ছে বলে অভিযোগ তৃণমূলের।ভোটের মুখে এমন কাজ বিজেপি করতে পারে কটাক্ষ তৃণমূলের।এমনকি এলাকায় মদ্যপপায়ী মানুষদের লেলিয়ে দিচ্ছে বলে অভিযোগ বিজেপির বিরুদ্ধে।তাদের দ্বারা বিজেপি লড়তে যাচ্ছে একুশের বিধানসভায়।তাদের পরাজয় নিশ্চিতরূপে রয়েছে বলে আশাবাদী চাঁচলের ঘাসফুল শিবির।
যদিও উত্তর মালদা কেন্দ্রের বিজেপি সাংসদ বলেন,মানুষ উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত,তাই বিজেপিতে যোগদানের হিড়িক লেগেছে।আর এই হিড়িকে তৃণমূল সন্ত্রাস চালাচ্ছে।যতই সন্ত্রাস চলাক তৃণমূল।ভারতীয় জনতা পার্টি সব জায়গায় যাবে বলে বুক ফুলিয়ে বলেন সাংসদ খগেন মুর্মু।
ভোট যত ঘনিয়ে আসছে বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মসূচিকে ঘিরে নেতাদের বাকযুদ্ধে পারদ ততই চড়ছে। ঘাসফুল-পদ্মফুলের মধ্যে তো যেন শক্তি প্রদর্শনের প্রতিযোগিতা চলছে বিভিন্ন জায়গাই। হাই ভোল্টেজ এই ভোটযুদ্ধে শেষ হাসি কে হাসে সেটাই এখন দেখার অপেক্ষায় গনতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগকারীরা।