পেট্রোপণ্যের মূল্য বৃদ্ধি অব্যাহত। তার মধ্যেই ‘গোদের উপর বিষ ফোঁড়া’র মতো হাজির অতিমারী করোনা। সব মিলিয়ে নাজেহাল অবস্থা মধ্যবিত্তের। এই অবস্থায় উচ্চ মাধ্যমিকের গণ্ডি না পেরোনো রোহিন দাস কর্মকারের সৌজন্যে বাইক প্রেমীদের জন্য সুখবর। বাঁকুড়ার ইন্দাসের শাশপুরের বাসিন্দা এই যুবক বিষ্ণুপুর শহরের শালবাগানে নিজের মোটর বাইকের ‘সকার’ তৈরীর কারখানায় বসে তৈরী করে ফেলেছেন ইকো ফ্রেণ্ডলী সাইকেল। মাত্র এক ইউনিট বিদ্যুৎ খরচ করে প্রায় একটা দিন নিশ্চিন্তে ঘুরে বেড়ানো যায়।
চলতি করোনাময় পরিস্থিতিতে একটা বড় অংশের মানুষের হাতে কাজ নেই। একটা নিজের বাইক কেনার সাধ থাকলেও সাধ্য নেই অনেকের। অন্যদিকে করোনা করোনা সংক্রমণের হাত থেকে বাঁচতে সামাজিক দূরত্ব বজায়ের কথা বলছেন বিশেষজ্ঞরা। ফলে নানান প্রয়োজন বা কর্মক্ষেত্রে পৌঁছাতে সার্বজনীন পরিবহন ব্যবস্থাকে এড়াতে চাইছেন অনেকেই। বিষ্ণুপুরের রোহিন দাস কর্মকারের নয়া আবিস্কার, স্বল্প মূল্যের এই ই-সাইকেল তাঁদের খুব কাজে লাগবে বলেই মনে করছেন। একই সঙ্গে এই ই-সাইকেল দেখতে প্রতিদিন আট থেকে আশি অনেকেই ভীড় করছেন আবিস্কারকের বাড়িতে।
ইকো ফ্রেন্ডলি সাইকেল ( বাঁকুড়া )
ইকো ফ্রেন্ডলি সাইকেল ( বাঁকুড়া )
Gepostet von ACN Life News am Freitag, 25. September 2020
তার এই আবিস্কার প্রসঙ্গে ‘আবিস্কর্তা’ রোহিন দাস কর্মকার বলেন, অনেকের সাধ থাকলেও শুধুমাত্র সাধ্যের অভাবে নিজের একটা বাইক বা স্কুটি কেনা হয়ে ওঠেনা। বরাবরই নতুন কিছু চিন্তা ভাবনা বরাবরই মাথায় ঘোরে। এই অবস্থায় সেই রকমই ভাবতে ভাবতে এই ই-সাইকেল তৈরীর ভাবনা মাথায় আসে। বিভিন্ন জায়গা থেকে বিভিন্ন যন্ত্রাংশ যোগাড় করে রুপ পায় বর্তমান এই ই-সাইকেলের। কতো খরচ পড়েছে এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, মাত্র ১২ থেকে ১৩ হাজার টাকাতেই তৈরী। আগামী বানিজ্যিকভাবে উৎপাদনের ভাবনা থাকলেও এখনই তা সম্ভব নয় সরকারী আনুকূল্য ছাড়া বলেই তিনি জানিয়েছেন।
বিষ্ণুপুরের মহকুমাশাসক অনুপ কুমার দত্ত বলেন, বিষয়টি ভালো লেগেছে। উনি চাইলে কর্মসাথী প্রকল্পের সুযোগ নিতে পারেন। এব্যাপারে প্রশাসনের তরফে তাকে সাহায্য করা হবে বলে তিনি জানান।