জলবন্দী গ্রামবাসী, প্রশাসনের সাহায্য না পেয়ে কেঁদে ফেললেন বন্যা কবলিতরা
মালদা জেলা সেচ দপ্তর জানিয়েছে মহানন্দা নদীর জলস্তর বেড়ে গিয়ে ২১.৬৭ মিটারে দাড়িয়েছে। যা গতকালের তুলনায় ১৯ সেন্টিমিটার বাড়তি হয়েছে বৃহস্পতিবার। বিপদসীমা থেকে ৬৭ সেন্টিমিটার উপরে রয়েছে মহাননন্দা নদীর জলস্তর।
আর তার জেড়ে জলমগ্ন হয়েছে মালদহের চাঁচল থানার একাধিক গ্রাম। ভেসে গেছে চাষেরজমি, পুকুর,বসতবাড়ি। বাসস্থান ছেড়ে অনেকেই আশ্রয় হীন হয়ে পড়েছে। কেউ বা ঘর ছেড়ে কোমর ছুই ছুই জলে পরিবার নিয়ে আনাগোনা করছে। কখন আসে প্রশাসন ত্রান নিয়ে। সেই অপেক্ষায় গ্রামে রয়েছেন বাসিন্দারা।
তবে গ্রাম জলমগ্ন হওয়া তিনদিন হয়ে গেলেও প্রশাসন আসেননি গ্রামে। এমনটাই ক্ষোভ প্রকাশ করে বললে মালদহের চাঁচল ২ নং ব্লকের চন্দ্রপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার নদী সংলগ্ন ভবানিপুর ও যদিপুরের বন্যা কবলিতরা।
বাসস্থান জলমগ্ন হওয়ায় এদিন যদুপুরের এক বৃদ্ধা প্রয়োজনীয় কাপড়- বিছানা নিয়ে থই থই জলের মধ্যে নিরাপদ স্থানের খোঁজে বিভোর হয়ে পড়েন। বৃদ্ধা বয়সে এমন অবস্থায় ঘরছাড়া হয়েছেন তিনি। ওই বৃদ্ধা মেহেরজুন বেওয়া বলেন, জলে ঘর ডুবেছে, আশ্রয়হীন হয়ে জলের মধ্যে ঘোরাফিরা করছি। তিনি আরোও অভিযোগ করে বলেন, প্রশাসন আজ পর্যন্ত কোনো ত্রান নিয়ে আসেননি। নিরাপদের জন্য আশ্রয়স্থলেরও ব্যবস্থা করেননি।
এলাকাবাসীর ক্ষোভ ( মালদা )
Gepostet von ACN Life News am Donnerstag, 1. Oktober 2020
একইভাবে প্রশাসনের প্রতি ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে ক্রন্দিত হয়ে ভবানিপুরের এক দুস্থ গৃহবধু ঝুরিমন বিবি, তিনি বলেন, বাঁশের বেড়া বিশিষ্ট ঘরে জল ঢুকে প্লাবিত হয়েছে।
ঘরছাড়া হয়ে ঘুম উড়েছে রাতের। আশ্রয়স্থান বলে নেই। এখনো পর্যন্ত প্রশাসন কারোও দেখা নেই।
অবিলম্বে নিরাপদ আশ্রয় ও ত্রান প্রদান করে যেন প্রশাসন।
এইভাবে দাবী জানিয়ে প্রশাসনের প্রতি ক্ষোভ করে বললেন চন্দ্রপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ভবানিপুর ও যদূপুরের শতাধিক বন্যা কবলিত মানুষ।
বৃহস্পতিবার ওই গ্রামগুলিতে পঞ্চায়েত প্রশাসন ও চাঁচল ২ নং ব্লক প্রশাসন এলাকা পরিদর্শনে গেলে তাদের প্রতি ক্ষোভে ফেটে পড়েন এলাকাবাসী।
এত দেরীতে গ্রামে প্রশাসনের পরিদর্শনে গ্রামবাসী ক্ষুদ্ধ হয়। এবং প্রশাসনকে ঘিরে শুরু হয় তর্জা।
বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শনে যান চন্দপ্রাড়া গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান চম্পা সরকার, চাঁচল ২ নং পঞ্চায়েত সমিতির বন ও ভূমি কর্মাধ্যক্ষ আব্দুল হাই ও ব্লক প্রশাসনের প্রতিনিধির দল।
একঝাঁক প্রশাসনকে পেয়ে এদিন কবলিতরা নিজেদের সমস্যার কথা তুলে ধরেন।
সমস্যা কথা শুনে পঞ্চায়েত সমিতির বন ও ভূমি কর্মাধ্যক্ষ আব্দুল হাই বলেন_ বাইট।
সূত্রের খবর এদিন চাঁচল ২ নং ব্লক প্রশাসনের প্রতিনিধির দল এদিন যদুপুর ও ভবানিপুর গ্রাম পরিদর্শন করে কবলিত দের ক্ষতিগ্রস্হ নথিভুক্ত করে গেছেন। তবে কবে পাবে আশ্রয়, ত্রান সেই জলবন্দী হয়ে সেই অপেক্ষায় রইলেন দুর্গতরা।