বিশ্বের সপ্তম আশ্চর্যের অন্যতম তথা প্রেমের অসাধারণ একটি প্রতীক হিসেবে তাজমহল দেশের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত। মুঘল সাম্রাজ্যের স্থাপত্যের এক অন্যতম আকর্ষণীয় নির্মাণ নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই তা ঠিক। কিন্তু এবার কি জনপ্রিয়তায় ভাটা পড়েছে?ভারতের প্রত্নতাত্ত্বিক জরিপ দ্বারা এবছরের বিশ্ব ট্যুরিজম দিবস উপলক্ষ্যে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছিল। সেখানে বলা হয়েছে ভারতের সবচেয়ে জনপ্রিয় স্মৃতিসৌধের তালিকার শীর্ষে তাজমহল নয়, দেশের অন্য একটি স্মৃতিসৌধকে দেখার জন্য ভিড় করছেন ভিন দেশের পর্যটকরা।ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে. বিদেশ থেকে আগত পর্যটকরা তাজমহলকে দেখতে আসছেন তা তো ঠিকই, কিন্তু তার থেকেও বেশি কৌতূহল যে ১০টি নিয়ে, তার একটি তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।
মামাল্লাপুরম: ঐতিহাসিক শহর মামাল্লাপুরমে রয়েছে প্রাচীন পাথর কাটা মন্দির, গুহা, স্থাপত্য ও সাহিত্য়ের নিদর্শন। একটি বিশালাকার পাথরের হাতির কাঠামো, একটি শিবমন্দির-সহ ঐতিহাসিক নিদর্শন নিয়ে গঠিত শহরটি পল্লব রাজ্যের অন্যতম প্রধান শহর ছিল। তাজমহল:আইভরি সাদা মার্বেল দিয়ে তৈরি বিশ্বখ্যাত স্মৃতিসৌধের নাম তাজমহল। প্রেমের প্রতীক হিসেবে চিহ্নিত এই সৌধটি হল বিদেশিদের দ্বিতীয় পছন্দের জায়গা। মুঘল শাসক শাহজাহান তাঁর স্ত্রী মুমতাজের প্রতি প্রেম প্রদর্শনের জন্য তৈরি করেছিলেন। ১৬৪৩ সালে শুরু করা হয়েছিল, শেষ হয়েছিল ১০ বছর পর। সেই সময় তাজমহল বানাতে খরচ হয়েছিল প্রায় ৩২ মিলিয়ন।
সালুভানকুপ্পাম মন্দির: তামিলনাড়ুতে অবস্থিত প্রাচীন এই মুরুগান মন্দিরটি বিশ্বের প্রাচীনতম মুরুগান মন্দির হিসেবে চিহ্নিতষ ২০০৫ সালে আবিষ্কৃত মন্দিরটি দ্বিস্তরীয়।
পল্লব রাজত্বের সময়, খ্রিষ্টীয় ৪ম শতাব্দীতে নির্মিত এই মন্দিরটি ইট ও গ্রানাইট দিয়ে তৈরি। আগ্রা ফোর্ট- তাজমহল থেকে কয়েক মাইল দূরে অবস্থিত মুঘল সম্রাট আকবরের নির্মিত ঐতিহাসিক দুর্গটি আগ্রা শহরের কেন্দ্রস্থলে। লাল বেলে পাথর দিয়ে তৈরি বিশাল দূর্গটি যমুনা নদীর তীরে অবস্থিত। ফোর্ট উইলিয়াম- তামিলনাড়ু পুরুক্কোত্তাই জেলার থিরুমায়ম শহরে ৪০ একর জমিতে অবস্থিত থিরুমায়ম ফোর্টটি। ১৬৬৭ সালে রাজা বিজয়া রঘুনাথ সেতুপতি এই দুর্গটি নির্মাণ করেছিলেন। এই দূর্গের মহান ঐতিহাসিত গুরুত্ব ও মহান স্থাপত্যের জন্য বিশ্ববিখ্যাত।