ভুলো মনের স্বামীরা সাবধান আপনি যদি প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপরাষ্ট্র সামোয়ায় এর বাসিন্দা হন তবে ভুলেও ভুলবেন না স্ত্রীর জন্মদিন,।সেই অপরাধ প্রমাণিত হলে জেলেও যেতে হতে পারে। ফলে ভুলো মনের স্বামীরা সাবধান!সারা দিনের অফিস সেরে রাতে বাড়ি ফিরে এসে দেখলেন স্ত্রীর মুখভার। অগত্যা তাঁর মানভঞ্জনের পালা। ফুলের তোড়ায় বা পছন্দের উপহার দিয়ে স্ত্রীর মন ভেজাতে সফলও হলেন। ব্যস, সমস্যা তো মিটেই গেল। তবে আপনি সামোয়ার নাগরিক হলে এত সহজে ছাড় পেতেন না।কাজের চাপে স্ত্রীর জন্মদিনটা বেমক্কা ভুলে গিয়েছেন?তাহলেই জেলেপাজোদ।
তবে আইন যখন রয়েছে, তার ফাঁকও কি নেই? সামোয়ার আইনে নাকি সে ফাঁকফোকরও রয়েছে। স্ত্রীর জন্মদিন ভুলে গেলেও তাই পার পেয়ে যেতে পারেন সে দেশের পুরুষেরা। কী ভাবে?যদি কোনও ভাবে স্ত্রীর জন্মদিনটি ভুলে যান, তবে সামোয়ার নাগরিকেরা আইনি ঝামেলায় পড়তে পারেন। তবে শর্ত একটাই! সে বিষয়ে স্ত্রী থানায় গেলে তবেই পুলিশের ঝামেলা পোহাতে হবে।সামোয়ার আইনে নাকি বলা হয়েছে, এক বারও স্ত্রীর জন্মদিন ভুলে গেলে আপনার কপালে দুঃখ রয়েছে। সেটি অপরাধ বলে গণ্য হয়। তবে সে ক্ষেত্রে স্ত্রীকে থানায় লিখিত অভিযোগ জানাতে হবে।স্ত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে সামোয়ার পুলিশ থানায় তলব করবে সেই অভিযুক্ত স্বামীকে।
এর পর থানার আধিকারিকের কড়া প্রশ্নের মুখে পড়তে হবে তাঁকে। হতে পারে লকআপের দর্শনও।ভয় পাবেন না! সামোয়ার আইনে এ অপরাধ গুরুতর হলেও স্বামীকে রক্ষা করার জন্য আইনি ঢালও নাকি তৈরি করা হয়েছে।স্ত্রীর জন্মদিন প্রথম বার ভুলে গেলে তা শুধরোনোর সুযোগও পাবেন স্বামী। প্রথম ভুলে স্বামীকে হুঁশিয়ারি দিয়েই ছেড়ে দেয় পুলিশ। যাতে ভবিষ্যতে তিনি আর এ ভুল না করেন।যদিও ভাগ্য খারাপ হলে এই অপরাধের ফলে হাজতবাস হতে পারে। দ্বিতীয় বার একই অপরাধ করলে অর্থাৎ স্ত্রীর জন্মদিন ভুলে গেলে হাজতে থাকতে হবে অপরাধীকে।ফলে সামোয়ার স্বামীরা সাবধান! আর যা-ই করুন না কেন, স্ত্রীর জন্মদিন ভুলেও ভুলবেন না।